নিউজ ডেস্ক : সিরিয়ায় আইএসবিরোধী হামলায় নিহত সুজনের স্ত্রী সায়মা আক্তার মুক্তা ও শ্যালিকা রাবেয়া আক্তার টুম্পা চার বছর ধরে নিখোঁজ। গোপালগঞ্জের এই দুই বোনের পাশাপাশি আরও চারজনের নিখোঁজের খবর দিয়েছে সরকারি ওই সূত্র।
এরা হলেন- সাবেক সচিব মোহাম্মদ মূসা সাদিকের ছোট ছেলে সাইমুন হাছিব মোনাজ, গাজীপুরের শ্রীপুরের কেওয়াবাজার গ্রামের মৃত তৌহিদুল ইসলামের ছেলে মো. রিদওয়ান ইসলাম তুহিন, আশুলিয়ার টুঙ্গাবাড়ীর আবদুর রহমান মাসুদ এবং বগুড়ার একেএম তাকিউর রহমান।
মোনাজ দুই বছর আগে মালয়েশিয়া চলে যান বলে বনানীতে সাবেক সচিব মুসার বাসার তত্ত্বাবধায়ক ফরমান আলী জানান। তিনি বলেন, “ছেলেটা খুব ভাল ছিল, নামাজ পড়ত, মুখে হালকা দাঁড়ি ছিল। সব সময় মাথা নিচু করে চলাফেরা করত। কথা খুব কম বলত। বিয়ের সাত দিনের মাথায় সে বাসা ছেড়ে চলে গিয়েছিল। তার স্ত্রী ১০/১৫ দিন পর বাসা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।”
বনানীর ২৩ নম্বর সড়কের ২২ নম্বর বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক ফরমান বুধবার দুপুরে এসব বলেন। তবে মুসা এই বাসায় থাকেন না জানিয়ে তিনি বলেন, “স্যার ১৮ নম্বর রোডের ১১ নম্বর বাসায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে থাকেন। মাঝে মধ্যে এই বাসায় আসেন। এখানে তার বড় ছেলে মেহমুদ ও তার মা হোসনে আরা জয়েস থাকেন।”
হোসনে আরা এখন অসুস্থ, তাকে চার থেকে পাঁচজন গৃহপরিচারিকা দেখাশোনা করেন বলে জানান তিনি।
মোহাম্মদ মুসার সঙ্গে দেখা করতে বিকাল ৫টার দিকে বনানীর ১৮ নম্বর রোডের ১১ নম্বর বাসায় গেলে সেখানকার তত্ত্বাবধায়ক মিজানুর রহমান বলেন, “স্যারের প্রথম স্ত্রী অসুস্থ। উনি (মুসা) হাসপাতাল থেকে একটু আগে বাসায় এসেছেন।”
একজন সাংবাদিক দেখা করতে চান বলে মুসাকে ইন্টারকমে জানালে ব্যস্ত থাকায় দেখা করতে পারবেন না বলে জবাব আসে।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স থেকে পাশ করা তুহিন প্রায় দেড় বছর ধরে নিখোঁজ বলে তার ছোট ভাই তানিম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় তুহিন ২০১৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করার পর একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে কিছু দিন পর ছেড়ে দেন। এরপর স্যামসাং মোবাইল কোম্পানির কারওয়ানবাজারের অফিসে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ নেন। তিনি বলেন, “এর মধ্যে হঠাৎ একদিন ভাইয়ের কোনো সন্ধান পাচ্ছিলাম না। তার মোবাইলও বন্ধ ছিল।”
সে সময় ভাই নিখোঁজের তথ্য জানিয়ে কলাবাগান থানায় একটি জিডি করেন বলে জানান তানিম।
নিখোঁজ আবদুর রহমান মাসুদের বিষয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। থানার কর্মকর্তারা জানান, নিখোঁজদের একটি তালিকা তৈরি করছেন তারা।
মাসুদের ঠিকানা টুঙ্গাবাড়ির ২ নম্বর সড়কের ৩ নম্বর বাসা বলা হলেও ওই ঠিকানায় গিয়ে কোনো বাড়ির সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সাভার প্রতিনিধি জানিয়েছেন।
নিখোঁজ বগুড়ার একেএম তাকিউর রহমানের ঠিকানা বলা হয়েছে শহরের কালিটোলার মদিনা মসজিদ সংলগ্ন আবদুল খালেকের বাড়ির নবম তলা। বগুড়া প্রতিনিধি জানান, বুধবার রাতে ওই বাড়িতে গিয়ে নবম তলা নির্মাণাধীন দেখা গেলেও সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। -বিডিনিউজ
০৪ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম