মঙ্গলবার, ০৯ আগস্ট, ২০১৬, ০৫:৫১:৫৮

বস্তির মেয়ের অলিম্পিক জয়

বস্তির মেয়ের অলিম্পিক জয়

স্পোর্টস ডেস্ক : লন্ডন অলিম্পিকের পরই অবসরে চলে যেতে চেয়েছিলেন ব্রাজিলের রাফায়েলা সিলভা। সেই সিলভাই ব্রাজিলকে এনে দিল এবারের অলিম্পিকের প্রথম সোনা। মেয়েদের জুডোর ৫৭ কেজির ইভেন্টে দেশকে প্রথম সোনা এনে দিয়েছেন রাফায়েলা সিলভা।

বয়স খুব বেশি না, মাত্র ২০ বছর বয়সে লন্ডন অলিম্পিকে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু বেআইনিভাবে প্রতিপক্ষের পা ধরায় প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যান সেবার। এ কারণে তাকে বর্ণবাদের শিকারও হতে হয়। মানুষের বিদ্রূপ সহ্য করতে না পেরে অবসরের চিন্তাও মাথায় এসেছিল তার। কিন্তু কোচের পরামর্শে মাথা থেকে সে চিন্তা ফেলে দেন।

রাফায়েলা সিলভা বলেন, মানুষ আমাকে খোঁচা দিত। বলত  আমি বানর, আমার খাঁচাতেই থাকা উচিত। কিন্তু আজ আমি দেখিয়ে দিয়েছি, আমার স্থান ক্রীড়াঙ্গনে, আমার স্থান জুডোতে।

রিওর ফাভেলাবাসীর(বস্তি) উন্নত জীবনের স্বাদ দিতেই সৃষ্টি হয়েছিল সিডাডে ডি ডিউস বা সিটি অব গড। কিন্তু পালাক্রমে সেটিই এখন ফাভেলার চেয়ে ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। রিওর এই অংশে বেড়ে ওঠা সিলভা পাঁচ বছর বয়সে জুডোর পাঠ নেন শুধু মজা হিসেবে। সেই সিলভাই স্বাগতিক দেশকে এনে দিলেন এ আসরের প্রথম সোনা।

সিলভা বলেন, আজ এ খেলা দেখেছে যে শিশুরা, সবার জন্য ব্যাপারটি দারুণ। যে আমি, সিটি অব গড থেকে উঠে এসেছি, পাঁচ বছর বয়সে রসিকতা হিসেবে যে জুডো বেছে নিয়েছিল, সে–ই কিনা অলিম্পিকের সোনা বিজয়ী। তারা এখন নিজেরাও স্বপ্ন দেখবে, বিশ্বাস করবে, স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব। আমি আমার এই পদক ব্রাজিলের সব মানুষ, আমার বন্ধু ও পরিবারের প্রতি উৎসর্গ করছি।

বিশ্বের ১১ নম্বর খেলোয়াড় সিলভা ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন শীর্ষ তারকা মঙ্গোলিয়ার সুমাইয়া দর্সুরানের। বিশ্বের ১ নম্বর তারকাকে হারানোর পেছনে স্থানীয় দর্শকের অবদানই দেখছেন সিলভা। তিনি বলেন, দর্শকে আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। তাদের উল্লাসে ম্যাট কাঁপছিল। আমি ভাবলাম, যারা আমাকে দেখতে এসেছে, তাদের হতাশ হতে দেব না।-এএফপি
৯ আগস্ট ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/এমকেএইচ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে