স্পোর্টস ডেস্ক: ব্যাপারটা বড় অদ্ভুত। ডিয়েগো ম্যারাডোনা কি যেন কাজে দুবাই যাবেন। বান্ধবী রোসিও অলিভাকে নিয়ে রাজধানীর বিমানবন্দরে গেলেন। এরপর ইজেইজার বিমানবন্দরে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হলো তাতে তো রেগে কাঁই এই ফুটবল কিংবদন্তি।
তার হাতে পাসপোর্ট। কিন্তু বলা হলো, অভিযোগ লিপিবদ্ধ আছে যে ম্যারাডোনার পাসপোর্ট চুরি হয়ে গেছে। তাই এই পাসপোর্টে দেশ ছাড়তে পারবেন না। শেষ পর্যন্ত তাকে দেশ ছাড়তে দেওয়াও হলো না। তাহলে ম্যারাডোনার হাতে কার পাসপোর্ট?
১৯৮৬ বিশ্বকাপ একা হাতে আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছিলেন। ম্যারাডোনার মতো মানুষের পরিচয় নির্ধারণে পাসপোর্ট লাগে না! ব্যাপারটা এমনও না যে ম্যারাডোনা সেজে আর কেউ দেশ ছাড়তে চাইছে! কিন্তু আইন বলে কথা। বিমানবন্দরে তাকে বলা হলো, "স্যার, আমাদের কাছে অভিযোগ আছে যে আপনার পাসপোর্ট চুরি হয়ে গেছে। আপনি তাই ভ্রমণ করতে পারবেন না।"
জ্বলে ওঠেন ম্যারাডোনা। ৫৭ বছরের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ব্যাখ্যা চান। এজেন্টকে ডেকে পাঠান। খতিয়ে দেখা হয়, তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। দেশ ছাড়তে পারেন। কিন্তু ঘটনা তা ঘটলো না। লাগেজ নিয়ে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হলেন ম্যারাডোনা।
ঘটনা কি? সবকিছু হাস্যকর লাগে তার। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি একজন রাজনীতিবিদের প্রতিহিংশার শিকার। ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় মিডিয়াকে ম্যারাডোনা জানান, "আমার জীবন আমি অন্য কাউকে নিয়ন্ত্রণ করতে দেই না। গত ১৫ বছর ধরে আমার ইচ্ছে মতোই চলছি।
আমাকে কারো বলে দিতে হবে না কি করতে হবে। এটা তো তামাশা। পাসপোর্ট আমার হাতে। কিন্তু বলা হচ্ছে তা চুরি হয়ে গেছে। আমার আইনজীবী তদন্ত করে জানাবে এই মিথ্যে আসলে কোনো রাজনীতিবিদের সাজানো।"
৩০ আগস্ট,২০১৬/এমটি নিউজ২৪/আ শি/এএস