বুধবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৯:২৪:০৭

বাংলাদেশে না আসলে ভবিষ্যতে ভোগাতে হবে মরগানকে

বাংলাদেশে না আসলে ভবিষ্যতে ভোগাতে হবে মরগানকে

স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশে না আসলে ভবিষ্যতে ভোগাতে হবে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে অধিনায়ক ইয়ন মরগানকে। বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজ নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তার পর গত ২৫ আগস্ট  বৃহস্পতিবার) ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) বাংলাদেশ সফরের জন্য সবুজ সংকেত দেয়।

তবে এই সফরে আসতে আলাদা করে ক্রিকেটাদের কোনো চাপ দিবে না বলে জানিয়েছিলো ইসিবি। প্রত্যেক খেলোয়াড় এই সফরের জন্য নিজস্ব মতামত জানাতে পারবেন। তবে অনেক ক্রিকেটার এখনো নিজেদের সিদ্ধান্ত জানায় নি। তাদের মধ্যে একজন ইংল্যান্ডের সংক্ষিপ্ত ফরমেটের অধিনায়ক ইয়ন মরগান। তবে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কেভিন পিটারসেন মনে করেন মরগান যদি বাংলাদেশ সফরে না আসেন তবে এর জন্য ভবিষ্যতে তাকে ভোগাতে হবে!

ইংল্যান্ডের ডেইলি দ্যা টেলিগ্রাফে একটি কলামে নিজের মতামত জানান পিটারসেন। সেখানে তিনি লিখেন, “ইয়ন মরগানের বাংলাদেশ সফরে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। মরগান যদি সফরে না যায় তাহলে তার নামে লাল দাগ পড়ে যাবে।”

এদিকে ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুক ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সফরে যাবার জন্য ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তাই একদিনের দলের অধিনায়ক মরগানের উপর আলাদা চাপ এসে গেছে। এই প্রসঙ্গে সেই কলামে পিটারসেন লিখেন, “যখন অ্যালেস্টার কুক টেস্ট দলকে নেতৃত্ব দিতে সম্মতি জানিয়েছেন তখনই মরগানের উপর অনেক চাপ তৈরী হয়ে গেছে। তারপরেও সে এই সফরে যেতে চাইবে না কেননা তার নিজস্ব মতামত জানানোর অধিকার আছে। কিন্তু ভবিষ্যতে কোনো একটা পর্যায় এটা তাকে ভোগাবে।”

পিটারসেন এছাড়া নিজের মতামত জানান, “যখন প্রত্যেকে সফর যেতে চাইছে তখন আপনি কেন নিজেকে অন্য সবার থেকে গুরুত্ব দিবেন?”
 
১৭ আগস্ট (বুধবার) ঢাকায় এসেছিলো ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিনিধি দলের তিন সদস্য, পরামর্শক রেগ ডিক্যাসন, প্রফেশনাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (পিসিও) প্রধান নির্বাহী ডেভিড লেদারডেল ও ইসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স ডিরেক্টর জন ক্যার । সফরে তারা স্টেডিয়াম, যাতায়াত, হোটেল সব পর্যবেক্ষন করেই দেশে গিয়ে সিদ্ধান্ত জানায়।

এরপর ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ক্রিকেটারদের সাথে আলোচনা করে। তারা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত জানালেও ক্রিকেটারদের নিজস্ব মতামতে হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়ে দেয়। তবে পিটারসেনের মতে এই সব আলোচনা শেষে আসলে নিজস্ব মতামতের কিছু থাকে না। তিনি বলেন, “আমি নিরাপত্তা বিষয়ক এইসব আলোচনায় ছিলাম, সাধারণত আপনাকে কি করতে হবে তাই বলা হয়। এখানে নিজস্ব মতামতের কোনো জায়গা থাকে না। বোর্ড আপনাকে বলবে এটা নিরাপদ এবং সফরে যাওয়া উচিত। এই পর্যন্ত! আলোচনা শেষে একটা বিষয় পরিস্কার- তারা চায় আপনি সফরে যান।”

এদিকে পিটারসেন মনে করেন সময় কাছাকাছি চলে আসলে সবাই এই সফরে ইতিবাচক সিদ্ধান্তই জানাবে। এই ব্যাপারে পিটারসেন বলেন, “অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সফরে যেতে পরিবার থেকে বাঁধা আসতে পারে। অনেকেই বাংলাদেশে এক মাসের সফরে যেতে চাইবে না।  তাই, অভিজ্ঞ ক্রিকেটার যাদের দলে জায়গা নিশ্চিত তারা এই সফরে না যাবার ঝুঁকি নিতে পারে। কিন্তু তরুণদের যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নাই। উদাহরণস্বরূপ যদি অ্যালেক্স হেলস এই সফরে না যায় তাহলে তার টেস্ট ক্রিকেটের ইতি ঘটবে। তার অতীতে অনেক রান নেই যেটা তাকে দলে আবার জায়গা দিবে। কেউ তার জায়গা নিয়ে নিবে এবং সফরে চলে যাবে। তাই, আমার মনে হয় শেষে সবাই বাংলাদেশে যাবে।”

উল্লেখ্য, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় পা দেবার কথা আছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের। সফরে দুইটি টেস্টের পাশাপাশি তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড।
৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে