স্পোর্টস ডেস্ক: ছয় বছরের বেশি সময় ধরে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নেই। পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কোষাগারও তাই খালি হচ্ছে দিনের পর দিন। বিগত বছরগুলোতে পাকিস্তান কেবল আইসিসি আয়োজিত প্রতিযোগিতাগুলোর লভ্যাংশের অংশ দিয়েই ক্রিকেট চালিয়েছে পিসিবি। এই অবস্থায় ভারতের বিপক্ষে আমিরাতের মাটিতে প্রস্তাবিত সিরিজটি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে অর্থনৈতিক স্থিতি এনে দিতে পারত। জানা গেছে, কেবল ভারতের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আগামী পাঁচ বছরে নাকি ৫০০ কোটি রুপি আয়ের পরিকল্পনা করেছিল পিসিবি। এখন ভারত সিরিজটি নিয়ে নেতিবাচক অবস্থানে চলে যাওয়ায় ‘পেটে লাথি’ খাওয়ারই জোগাড় হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের।
এখন রাজনৈতিক কারণে ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। পিসিবি সভাপতি শাহরিয়ার খান সোজাসাপটাই জানিয়েই দিয়েছেন, সিরিজটি না হলে চাকরিচ্যুত হতে হবে অনেককেই। ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে তিনি জানিয়েছেন, ‘ভারতের বিপক্ষে সিরিজটি না হলে আর্থিক সমস্যায় পড়ে যেতে হবে আমাদের। সে ক্ষেত্রে বোর্ডের লোকবল কমানো ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না আমাদের।’
বর্তমানে পিসিবিতে কাজ করেন মোট ৯০০ কর্মী। পাকিস্তানের স্থানীয় ক্রিকেটেই বোর্ডের বার্ষিক ব্যয় ৬০-৭০ কোটি রুপি। কর্মীদের বেতন-ভাতায় ব্যয় সংকোচনের জন্যই কর্মী সংখ্যা ২০০ কমিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছেন পিসিবির সভাপতি।
আগামী পাঁচ বছরে চারটি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা থেকে প্রায় ৮ কোটি ডলার আয়ের কথা পাকিস্তানের। কিন্তু বোর্ডের নৈমিত্তিক খরচও দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিছুদিন আগেই ২৮ জন ক্রিকেটারকে নতুনভাবে চুক্তির আওতায় এনেছে বোর্ড। ভারতের সঙ্গে সিরিজ না হলে বোর্ডকে এক প্রকার ‘ফতুর’ই হয়ে যেতে হবে। সূত্র: পিটিআই।
১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর