স্পোর্টস ডেস্ক: সম্প্রতি গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম পেসার শাহাদাত হোসের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর ফলে স্ত্রীর সাথে তিনি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পেসার রুবেল হোসেন তিনিও হ্যাপীর দায়ের করা একটি মামলার ঘানি টেনে জেলেও ছিলেন।
তবে শুধু বাংলাদেশের এই দুই তারকা ক্রিকেটার নয়, ক্রিকেট ইতিহাসে মামলার ঘানি টেনেছেন এমন ক্রিকেটারদের তালিকাটা খুব ছোট নয়। আসুন জেনে নেয়া যাক তাদের...
১. রুবেল হোসেন:
অভিনয় শিল্পী ও মডেল নাজনীন আক্তার মিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেছিলেন রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হ্যাপি রুবেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলাটি করেছিলেন। আর তার জন্য রীতিমত কারাগারেও যেতে হয়েছিল রুবেলকে।
২. নভোজ্যাৎ সিং সিধু:
ভারতীয় সাবেক এই ওপেনার ২০০৬ সালে ৩ বছর কারাদণ্ডের মুখোমুখি হয়েছিলেন। কারণ, তার গাড়ীর চাপায় ১৯৮৮ সালে ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ মারা গিয়েছিলেন।
৩. বিনোদ কাম্বলি:
সম্প্রতি শচিন টেন্ডুলকারের বাল্যবন্ধু ও সাবেক ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলি ও তার স্ত্রী আন্দ্রেয়ার বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে অবৈধভাবে আটকে রাখা এবং বেতন না দেয়ার অভিযোগে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা থানায় তার বিরুদ্ধে ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট (এফআইআর) দায়ের করা হয়। কাম্বলির পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। এরপর বাসা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার পরই থানায় গিয়ে কাম্বলি দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান তিনি।
৪. মার্ক ভারমিউলেন:
২০০৬ সালে হারারে স্পোর্টস ক্লাব ও জাতীয় একাডেমিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন মার্ক ভারমিউলেন। সেই ঘটনার আগে ইংলিশ কাউন্ট্রি খেলতে গিয়ে চড়াও হয়েছিলেন দর্শকদের উপর। আর সেটা নিয়ে থানা-পুলিশও হয়। পরে জানা গেল, মনস্তাত্ত্বিক সমস্যায় ভুগছেন।
৫. টেরি টার্নার:
ডাকাতির সাথে জড়িত ছিলেন টেরি টার্নার। ৭০-এর দশকে এই লেগ স্পিনার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছিলেন নয়টি টেস্ট। ১৯৮৮ সালে এসে জুয়ার দেনা মেটাতে ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন। সেখানে সাড়ে ছয় বছর জেল হলেও ছাড়া পেয়ে গিয়েছিলেন আঠারো মাস পরেই।
১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর