স্পোর্টস ডেস্ক: বৃহস্পতিবার বিপিএলের পঞ্চমতম ম্যাচটি মাত্র ১৮.৪ ওভারেই শেষ হয়ে যায়। ৪৪ রান করতে খুলনা টাইটান্সের ব্যাটসম্যানরা খেলেছেন মাত্র ১০.৪ ওভার।
এই ম্যাচটি জিততে রংপুর খেলেছে ৮ ওভার। ১২ রানে চার উইকেট নিয়েছে শহীদ আফ্রিদি। কোনো রান না দিয়ে ৩ উইকেট নেন আরাফাত সানি।
এরপর থেকেই আলোচনা চলছে এটিই কি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ম্যাচ? যদি ছোট্ট ম্যাচ হতে হলেও বিশ্বরেকর্ড করার যায়। না-এটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ম্যাচ না।
মুশতাক আলী ট্রফিতে ২০০৯ সালে ঝাড়খন্ডের বিপক্ষে ১১.১ ওভারে মাত্র ৩০ রানে গুটিয়ে যায় ত্রিপুরা। এরপর ম্যাচটা জিততে মাত্র ২০ বল খেলে ঝাড়খন্ড।
বলের দিক থেকে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম ম্যাচের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত শ্রীলংকা-নেদারল্যান্ডসের ম্যাচটা।
১০.৩ ওভারে ৩৯ রানে অলআউট হয় নেদারল্যান্ডস। আর লংকানরা ম্যাচটা জিতে নেয় মাত্র ৫ ওভার খেলেই। এই দুইটি কারণে হয়ত বিপিএলের আজকে ম্যাচটি লজ্জার বিশ্বরেকর্ড করতে পারেনি।
তবে টি২০ তে দ্রুততম সময়ে অলআউট হবার লজ্জার রেকর্ডটা ঘটে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে। ২০১৩ সালের বিজয় দিবস টি২০ ক্রিকেটে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে মাত্র ৮.৪ ওভার খেলে ৪৫ রানে অলআউট হয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
কাকতালীয়ভাবে সেদিনের সেই ম্যাচেও প্রতিপক্ষ দলে ছিলেন রুবেল হোসেন ও সোহাগ গাজী। মাত্র ৫২ বল স্থায়ী হয় মোহামেডানের ইনিংস।
বলের হিসাবে দ্বিতীয় দ্রুততম ছোট ইনিংসের রেকর্ডটি এসেক্সের। ইংল্যান্ডের ফ্রেন্ডস লাইফ টি২০ ক্রিকেটে ১০.৩ ওভারে মাত্র ৮২ রানে অলআউট হয় রবি বোপারা-রায়ান টেন ডেসকাটে, স্কট স্টাইরিস, ওয়াইজ শাহার দল।
১০ নভেম্বর,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/আ শি/এএস