ক্রিকেট নিয়ে ভারতে একের পর এক লঙ্কাকাণ্ড, আইসিসি কর্মকর্তা যা বললেন
স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেট ইস্যুতে মোটেই ভাল নেই ভারত। একই সাথে আতঙ্কে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারর। অস্ত্রধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় হচ্ছে ক্রিকেটারদের পথ চলা।
দক্ষিণ আফ্রিকার এই সফরে বেশ কয়েকটি বিতর্কিত ঘটনা ঘটে ভারতে। একের পর এক ঘটে যাওয়া এইসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ খোদ আইসিসি। এসব ঘটনার কারণে সরিয়ে নেয়া হয়েছে পাকিস্তানের ধারাভাষ্যকার ও আম্পায়ারদের।
সাবেক পাকিস্তানি তারকা শোয়েব আক্তার ও ওয়াসিম আকরামকে ধারাভাষ্যকার হিসাবে এই সিরিজে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। কঠোর নিরাপত্ত্বা থাকার পরেও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সদর দপ্তরে হামলা চালায় ভারতীয় জঙ্গি সংগঠন শিবসেনা।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ থাকায় তাদের টার্গেট হতে পারে পাকিস্তানিরা। এ কারণে পাকিস্তানের আম্বায়ার ও ধারাভাষ্যকাদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে আইসিসি।
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে স্টেডিয়ামে সৃষ্টি হয় গোলমাল। দর্শকদের বোতল হামলায় ম্যাচটি বন্ধ থাকে বেশ কিছুক্ষণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পরে ফের ক্রিকেট মাঠে গড়ায় সেদিন।
গুজরাটে হার্টি প্যাটেলের নেতৃত্বে ভারতের আর একটি গ্রুপ ম্যাচ বাতিলের প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে বিভিণ্ন দাবিতে আন্দোলন চালায়। পরে একদিকে সরকার সমর্থক ও অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রচেষ্টায় মাঠে গড়ায় ম্যাচ।
কিন্তু এর পরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে জঙ্গি গোষ্ঠির হামলাই পরিস্থিকে আরো গোলাটে করে। ২০১৬ সালে ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বসার কথা। কিন্তু এই আসরকে সামনে রেখে নিরাপত্ত্বা প্রসঙ্গ এখন বেশ আলোচনায়।
আইসিসি সভাপতি জহির আব্বাস জানান, ভারতের নিরাপত্ত্বা ব্যবস্থার উন্নতি না হলে পাকিস্তান সে আসরেও অংশ নিবে না।
২০ অক্টোবর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর
�