পাক-ভারত সিরিজ আয়োজনে যত বাধা
স্পোর্টস ডেস্ক: সোমবার মুম্বাইয়ে বৈঠকে বসার কথা ছিল ভারত ও পাকিস্তানের দুই ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান শশাঙ্ক মনোহর ও শাহরিয়ার খানের। ডিসেম্বরে সম্ভাব্য ভারত-পাকিস্তান সিরিজের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা ছিল এই বৈঠকের মাধ্যমে। কথা ছিল, সেই সিরিজ আদৌ অনুষ্ঠিত না হলে একটা ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন করার যার তৃতীয় দল হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের।
কিন্তু আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল শিবসেনার পাকিস্তানবিরোধী বিক্ষোভের মুখে পণ্ড হয়ে গেছে এই বৈঠক। তাই, দুইয়ে-দুইয়ে চার মিলিয়ে এই সিরিজের ভবিষ্যত অনিশ্চিত বলে দেয়া যায়।
সিরিজ হলে যে, বাংলাদেশ খেলার ব্যাপারে আগ্রহী ছিল সেটা একদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামুদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্যতেই স্পষ্ট। তিনি বলেছেন, ‘খুব সম্ভবত বিসিসিআই এটা নিয়ে আলোচনা করছে, যদি ব্যাপারটি সত্যি হয়। তবে এই সিরিজটির আয়োজন হবার জন্য আনুষ্ঠানিক কোন প্রস্তাব আমরা কোন তরফ থেকেই পাইনি।’
সোমবার সকালে বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর মুম্বাইয়ের বিসিসিআই সদরদপ্তরে পৌঁছানোর পর পরই শিবসেনার অর্ধশতাধিক কর্মী ভবনের ভেতর ঢুকে পড়ে পাকিস্তানবিরোধী শ্লোগান দেওয়া শুরু করে ও দ্বিপাক্ষিক কিংবা ত্রিপাক্ষিক সিরিজ বাতিলের দাবি জানাতে থাকে। এর ফলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি শাহরিয়ার খান ও প্রধান নির্বাহী নাজাম শেঠিকে পাঁচ মিনিট দূরত্বের দক্ষিণ মুম্বাই হোটেল থেকে বের হতে মানা করা হয়।
একই সাথে, পাকিস্তানবিরোধীতার কারণে, আগামী ২৫ অক্টোবর, চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের মধ্যকার সিরিজের পঞ্চম ওয়ানডেতে পাকিস্তানি আম্পায়ার আলিম দারকে সরিয়ে দেয়ার দাবি করে শিবসেনারা।
শিবসেনার দাবির প্রেক্ষিতে আইসিসি এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আলিম দারকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আজ।
এর আগে সম্প্রতি শিবসেনার প্রতিরোধের মুখে নিরাপত্তাজনিত কারণে বাতিল হয় মুম্বাইয়ে পাকিস্তানি শিল্পী গোলাম আলির কনসার্ট। এছাড়া সাবেক পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুরশিদ মাহমুদ কাসুরির লেখা একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের আগে ওই অনুষ্ঠানের প্রধান আয়োজক সুধীন্দ্র কুলকার্নিকে কালো আলকাতরা মাখিয়ে হেনস্থাও করেছে শিবসেনার বিক্ষোভকারীরা। একই ধরনের বিক্ষোভের কারণে চলতি বছরের এপ্রিলে পুনেতে আরেক পাকিস্তানি সঙ্গীত শিল্পী আতিফ আসলামের কনসার্টও পণ্ড হয়ে যায়।
ফলে একটু জোর দিয়ে যেটা বলা যায়, সেটা হলো পাক-ভারত সিরিজ কিংবা ত্রিদেশীয় সিরিজ আদৌ হবে কিনা সেটা এই মুহুর্তে বোঝা মুশকিল। তবে ক্রমেই সিরিজটি না হওয়ার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।
২০ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ