গানার্সদের কাছে উড়ে গেল বায়ার্ন
স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা তিন ম্যাচ হারের শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে এবারের আসরের প্রথম জয় পেয়েছে আর্সেনাল। দ্বিতীয়ার্ধের দুই গোলে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়েছে আর্সেন ভেঙ্গারের শিষ্যরা। আর্সেনালের ২-০ ব্যবধানের জয়ে গোল করেন অলিভিয়ে জিরুদ ও মেসুত ওজিল।
‘এফ’ গ্র“পের অন্য ম্যাচে দিনামো জাগরেবকে ১-০ গোলে হারিয়েছে অলিম্পিয়াকোস।
মঙ্গলবার রাতে নিজেদের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে সপ্তম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো আর্সেনাল। আলেক্সিস সানচেস ওজিলকে খুঁজে পেলে ম্যাচের প্রথম পরিষ্কার সুযোগটি পায় স্বাগতিকরা। ওজিলের নিচু শট ঠেকিয়ে সেবার দলকে বাঁচান মানুয়েল নয়ার।
চার মিনিট পর আর্সেনালের ত্রাতা পেতর চেক। জাভি আলোনসোর পাস থেকে বল পান থিয়াগো আলকানতারা। টমাস মুলারের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে শট নেন, কিন্তু সতর্ক চেককে পরাস্ত করতে পারেননি তিনি।
২৮তম মিনিটে আবার ইংল্যান্ডের অন্যতম সফল দলটিকে বাঁচান চেক। আলনসোর কাছ থেকে বল পাওয়া আর্তুরো ভিদালের জোরালো ভলি ফিরিয়ে দেন তিনি।
প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা তিন ম্যাচ হারের শঙ্কায় থাকা আর্সেনাল প্রবল চাপ তৈরি করে জার্মানির চ্যাম্পিয়ন দলটির ওপর। ৩২তম মিনিটে তার সুফল পেয়েও যাচ্ছিল স্বাগতিকরা। অরক্ষিত থিও ওয়ালকটের হেড কোনোমতে ঠেকান অনেকের মতে এ সময়ের সেরা গোলরক্ষক নয়ার।
জার্মানির সফলতম ক্লাব বায়ার্নের দগলাস কস্তা, রবের্তো লেভানদোভস্কির জবাব ছিলেন আলেক্সিস সানচেস, থিও ওয়ালকটরা। সুযোগ পেলেই অতিথিদের রক্ষণে হানা দিচ্ছিলেন তারা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নিজেদের রক্ষণ সামলানোর দিকেই বেশ মনোযোগ দিতে হয় আর্সেনালকে। জমাট রক্ষণের সঙ্গে চেকের দৃঢ়তায় সুবিধা করতে পারেনি পেপ গুয়ার্দিওলার শিষ্যরা।
এই অর্ধে আর্সেনালের প্রথম সত্যিকারের সুযোগকেই গোলে পরিণত করেন জিরুদ। সান্তি কাসোরলার ফ্রি কিক এগিয়ে এসে বিপদমুক্ত করতে চেয়েছিলেন নয়ার। পারেননি তিনি, সেই সুযোগে নিচু হেডে বল জালে পাঠান জিরুদ। হেড করার সময় বল তার হাতও বল স্পর্শ করে।
৮৩তম মিনিটে ভক্তদের হতাশ করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড জিরুদ। অনেকটা লাফিয়ে নয়ার বরাবর হেড করে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি।
পিছিয়ে পড়ার পর আরও মরিয়া হয়ে উঠে বায়ার্ন। কিন্তু আর্সেনালের প্রতিরোধ ভাঙতে পারেনি তারা। উল্টো যোগ করা সময়ে আরেকটি গোল হজম করে দলটি। ম্যাচের প্রথম সুযোগ হাতছাড়া করা ওজিল শেষ সুযোগটি কাজে লাগান।
এই হারের পরও ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এফ’ গ্র“পের শীর্ষে রয়েছে বায়ার্ন। জাগরেবকে হারানো গ্রিসের অলিম্পিয়াকোস গোল পার্থক্যে দুই নম্বরে রয়েছে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে শেষ দুটি স্থানে আছে আর্সোনাল ও জাগরেব।
২১ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আসিফ/এআর
�