স্পোর্টস ডেস্ক : চন্ডিকা হাতুরাসিংহের হাতে যেন জাদু আছে! তার কোচিংয়ে বদলে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। হাতুরার কথাও যেন অব্যর্থ। ভবিষ্যদ্বাণীতে ভীষণ পটু। বাংলাদেশের দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর মুখে যা যা বলেছেন, দলের ফলাফলেও একই চিত্র দেখা গেছে। বিশ্বকাপ থেকে সব শেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ পর্যন্ত সব কিছুতেই সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। এবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ নিয়েও কোচ বলেছেন, ভালো করবে বাংলাদেশ। তাহলে কী এবার ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে চমকে দিতে চলেছে বাংলাদেশ?
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে ফল যাই হোক না কেন কোচের কথায় ক্রিকেটারদের মধ্যে একটা ইতিবাচক বার্তা চলে গেছে। অধিনায়ক মুশফিকও ভীষণ আত্মবিশ্বাসী হয়েছেন গুরুর কথায়। গতকাল মুশফিক বলেন, এটা তো অবশ্যই ভালো ব্যাপার যে তার (কোচ) কথা লেগে যায়। তার কথা যদি এবারও ফলে যায় তাহলে খুবই ভালো। আমার মনে হয়, সাহসটা এখান থেকেই পাচ্ছে যে তার তত্ত্বাবধানে যে খেলোয়াড় আছে তারা সবাই ভালো খেলছে। শুধু কোচকে নয় আমি বলব পুরো বাংলাদেশকেই এখন সাহস জোগাচ্ছে। সবাই এখন আশা করে যারা আমাদের দেশে আসবে তাদের আমরা হারাব। আমাদেরও সেটা মাথায় আছে। তবে এটা খুব সহজ হবে না। তবে আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব। আমি যেটা বলেছি বাংলাদেশ টেস্টে উন্নতি করছে। আমরা যদি এই দুটি টেস্টে ভালো খেলি বছরটাও বেশ ভালোভাবে শেষ হবে।
গতকাল বাংলাদেশ সফরের জন্য দল ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। অধিকাংশ ক্রিকেটারই নতুন। তরুণ দল দেখে মোটেও অবাক নন মুশফিক।
তিনি বলেন, 'না, এটা অপ্রত্যাশিত নয়। কারণ হ্যাজলউড ও জনসন তো আগেই বিশ্রামে ছিল। আমরা যে ধারণা করেছিলাম মোটামুটি সবাই আসছে। দুইজন নতুন ক্রিকেটার আছে। তাদের সম্পর্কে এখনো ওই রকম ধারণা নেই। এখনো অনেক সময় আছে আমাদের। যদিও এটা একটা তরুণ দল কিন্তু দলটা অস্ট্রেলিয়া। এটা ভুলে গেলে চলবে না। আশা করছি ভালো একটা সিরিজের জন্য আমরাও প্রস্তুত হচ্ছি।
নিজেদের আত্মবিশ্বাসের কথা বলতে গিয়ে মুশফিক বলেন, 'কারণ তরুণ দল আসলে আমাদের সঙ্গে হারবে বিষয়টি তেমন নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার কিন্তু সেরা খেলোয়াড়রা এসেছিল। তারপরও হেরেছে। এরপর ভারতের পুরো শক্তি এসেছিল। তবুও হেরেছে। প্রধান বিষয় হচ্ছে আমরা খুবই ভালো ক্রিকেট খেলেছিলাম এবং ধারাবাহিকভাবে পারফরম্যান্স করেছিলাম বলেই জয়গুলো এসেছিল। আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে আমরা কি করতে পারি এবং আমরা শেষ ছয়-সাত মাস যেটা করেছি সেদিকেই যেন ফোকাসটা রাখি। এখন ভালো খেলেও যদি ফল না আসে এটা আমাদের হাতে নেই। আমাদের লক্ষ্য থাকবে ধারাবাহিকভাবে ভালো ক্রিকেট খেলা। অস্ট্রেলিয়াকে হারানো এর চেয়ে বড় সুযোগ আর নেই।'
উপমহাদেশের টার্নিং উইকেটে সব সময়ই ভুগেছে অস্ট্রেলিয়া। টাইগার দলপতি মনে করেন, এখানকার উইকেট স্পোর্টিং হবে। তবে উইকেটের সাহায্য নিয়ে নয়, নিজেদেরও ভালো খেলার কথা বললেন মুশফিক, 'উইকেট থেকে সাহায্য নিয়ে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে আমরা এতদিনে আরও ওপরে যেতে পারতাম। আমাদের ভালো খেলতে হবে। ধারাবাহিকভাবে ভালো করতে হবে। টার্নিং হলে ওদেরও বোলার আছে এটাও মাথায় রাখতে হবে। কিন্তু আমরা এমন একটা উইকেট যেন বানাতে পারি যেখানে ৪০০ এর মতো রান সঙ্গে ২০ উইকেটও নিতে পারি।'
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে