স্পোর্টস ডেস্ক: ধারাবাহিক পারফরমেন্সে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে তিন ফরম্যাটে ১১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তামিম ইকবাল। তার সামনে এখন হাতছানি দিচ্ছে আরো একটি বড় মাইলফলক। ওয়ানডেতে ১৭৬ ম্যাচ খেলে ৫৯৩৪ রান করেছেন এই ড্যাশিং ওপেনার। আর মাত্র ৬৬ রান করলেই প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ওয়ানডেতে করবেন ছয় হাজার রানের মাইলফলক।
ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনালের আগে আরো দুটি ম্যাচ খেলবেন তামিম। যদি দুই ম্যাচে ৬৬ রান করতে পারেন তাহলে দ্রুততম ছয় হাজার নেয়ার দৌঁড়ে পিছনে ফেলবেন মাহেন্দ্র সিং ধোনি, রস টেইলর, মাইকেল বেভান, মোহাম্মদ ইউসুফ, রাহুল দ্রাবিড়, এডাম গিলগিস্ট, মাইকেল ক্লার্ক, জাবেদ মিয়াদাদ, ইনজামুল হক, মারবান আতাপাত্তু, হার্সাল গিবস, কুমার সাঙ্গাকারা, বিরেন্দ্র সেহওয়াগ, যুবরাজ সিং, সিবনায়ারন চন্দরপল, তিলকারত্নে দিলশাল, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, অর্জুনা রানাতুঙ্গে, ইউনিস খান, সানাথ জয়সুরিয়া, মাহেলা জয়াবর্ধনে, স্টিফেন ফ্লেমিং, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, স্টিভ ওয়াহ, এল্যান বোর্ডারদের মত কিংবদন্তিদের।
গত তিন বছরে তামিমের ব্যাটিং গড় ৫৫.৭৭। ৪১ ম্যাচ খেলে ৪০ ইনিংসে রান ১৯৫২। এই সময়ের হিসাবে শীর্ষ ব্যাটসম্যান ভারতীয় তারকা বিরাট কোহলির ৫৬ ম্যাচে ৫৬ ইনিংসে মোট রান ২৮২২, গড় ৬৪.১৩। ডি ভিলিয়ার্সের ৬৪.০২ গড়ে ২৩০৫, ৫০ ম্যাচে এই দু'জনের চেয়ে কম ম্যাচ খেলে তামিম কিন্তু খুব বেশি পিছিয়ে নেই।
২০১৫ থেকে এ পর্যন্ত ১৫ কিংবা এর চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ক্রিকেটারদের মধ্যে ব্যাটিং গড় হিসাবে তামিমের অবস্থান ৭ নম্বরে। বাংলাদেশী তারকার ওপরে অবস্থান ফ্যাফ ডু প্লেসি, ডেভিড ওয়ার্নার, জো রুট, রোহিত শর্মা, ডি ভিলিয়ার্স ও কোহলির।
গত তিন বছরে এই ৪১ ম্যাচে তামিমের সেঞ্চুরি পাঁচটি, ফিফটি ১৩টি। কোহলি ৫৬ ম্যাচে ১২টি ফিফটি পেলেও তার অর্ধশতগুলো সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করার হার অনেক বেশি- তিন অঙ্কে পৌঁছেছেন ১১ বার।
অন্যদিকে ১১টি ফিফটির বিপরীতে ডি ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরি সাতটি। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার দুই তারকার সমান ম্যাচ খেলতে পারলে তার গড়ও বাড়তে পারত, মোট রানও বাড়তে পারত।
কিন্তু একটা জায়গায় তামিম অন্যদের তুলনায়, বিশেষ করে ওপেনারদের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে থাকবেন- ফিফটিগুলোকে তার সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করার সুযোগ অন্যদের চেয়ে বেশি। নির্দিষ্ট করে বললে এই সুযোগ তার কোহলি ও ডি ভিলিয়ার্সের চেয়েও বেশি।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস