স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিকেট বরাবরই আনন্দের খেলা। কিন্তু বর্তমান ব্যস্ত সময়ে খুব কম মানুষই পাওয়া যাবে যে র্দীঘক্ষন বসে ৫ দিনের টেস্ট ম্যাচ উপভোগ করতে। এমনকি একদিনের ওয়ানডে ক্রিকেটটাও দেখার অবকাশ নেই তাদের। তবুও ওয়ানডের জৌলুস রয়েছে এখনো। তাই আইসিসি ব্যস্ত দর্শকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে আর্ভিবাব ঘটায় টোয়েন্টি২০ ক্রিকেটের।
তবে ভারতের সাবেক উইকেটরক্ষক সৈয়দ কিরমানি অবশ্য আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছেন। ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ক্রিকেটটা ১০ ওভারের ফরম্যাটে নামলেও তা বিশ্ব মাতাবে।
কিরমানি বলেছেন, ‘তিন ফরম্যাটই বিশ্ব ক্রিকেটে ভালভাবেই জায়গা করে নিয়েছে। ভবিষ্যতে ১০ ওভারের (টেন১০) ক্রিকেট চালু হলেও তা বিশ্ব ক্রিকেটে আরও অনেকগুণ আনন্দের খোরাক হবে।’
ক্রিকেট এক কালে অভিজাত শ্রেণীর খেলা হলেও তা ধীরে ধীরে মাধ্যম, নিম্ম-মাধ্যম সারির লোকজনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে এ জনপ্রিয় খেলাটি। তাছাড়া খেলাটি দিনে দিনে ব্যবসায়িক সাফল্য পাচ্ছে।
ক্রিকেটের এই প্রবাহমান ধারা সম্পর্কে কিরমানি বলেছেন, ‘টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটের জৌলুস বাড়িয়েছে। মানুষের মনে আনন্দও দিয়েছে শতভাগ। আর টোয়েন্টি২০ ফরম্যাট আসার পর সেই আনন্দের মাত্রা বেড়ে গছে আরও বহুগুণ। এমতাবস্থায় ১০ ওভারের ম্যাচ শুরু হলে ক্রিকেটের জৌলুস আরও অনেকখানি বেড়ে যাবে, যা হবে অনেক বেশি আনন্দদায়ক।’
শুধু জনপ্রিয়তা নয়, ১০ ওভার ফরম্যাটের ক্রিকেট বাণিজ্যিক ক্ষেত্রকে আরও সম্প্রসারিত করবে। ভিন্নমতও রয়েছে এ নিয়ে। টোয়েন্টি২০ ফরম্যাট মানুষকে বিনোদিত করলেও এর প্রভাবে ক্রিকেটের আসল চরিত্রই হারিয়ে যাচ্ছে- অনেকের মন্তব্য এমনই। তবে এ সব সমালোচনাকে আমলে না নিয়ে দর্শকদের দিকটাই মাথায় রাখছেন কিরমানি। তিনি বলেছেন, ‘ভক্তরা ম্যাচের ফল দেখতে চায়, এটাই এখন মুখ্য। তাই ব্যাটিং, বোলিং, উইকেট কিপিং বা ফিল্ডিং- এ টেকনিক পুরোপুরিভাবে ব্যবহার করা গেল কি-না এটা আসল বিষয় নয়। তবে এটি স্কুলে পড়া খেলোয়াড়দের জন্য উপকারী ফরম্যাট নয়। যখন একজন ক্ষুদে খেলোয়াড় ক্রিকেটের পুরো টেকনিকটা অনুসরণ করে খেলবে, তখন সবাই তাকে বাহবা দেবে। তাই টেন১০ ফরম্যাট হতে পারে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও জনপ্রিয়।’
উল্লেখ্য, সৈয়দ কিরমানি ভারতের হয়ে ৮৮টি টেস্ট ও ৪৯টি ওয়ানডে খেলেছেন। ব্যাট হাতে টেস্টে ২৭৫৯ ও ওয়ানডেতে ৩৭৬ রান করেছেন। সূত্রঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫,এমটি নিউজ২৪/আরিফুর/রাজু