স্পোর্টসে ডেস্ক: মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে কত-কী ঘটে গেল সিরীয় শরণার্থী শিশু যায়িদের জীবনে। এই সময়ে সাত বছরের শিশুটি জীবনের নির্মম দিক দেখেছে। আবার হুট করে তার একটি স্বপ্নও বাস্তবে ধরা দিয়েছে।
হাঙ্গেরিতে জাতিগত বিদ্বেষের শিকার হয়ে আলোচিত যায়িদ গতকাল শনিবার তার প্রিয় ফুটবলার রোনালদোর সান্নিধ্য পেয়েছে। রোনালদোর সঙ্গে নেমেছে মাঠে।
এএফপিযায়িদের কাহিনী ইতিমধ্যে হয়তো অনেকেরই জানা। যুদ্ধের কারণে যায়িদকে নিয়ে তার বাবা ওসামা আবদুল মোহসেন পাড়ি জমান ইউরোপে। পরিবারের অন্য সদস্যরা হয়ে যান বিচ্ছিন্ন।
ইউরোপে এসে একটা বড় ধাক্কা খান মোহসেন। ছেলে যায়িদকে কোলে নিয়ে সীমান্ত পার হচ্ছিলেন তিনি। ঠিক এ সময় হাঙ্গেরিয়ান এক নারী সাংবাদিক ল্যাং মেরে বসেন। পড়ে গিয়ে বাবা-ছেলে আহত হন। ঘটনাটি প্রকাশিত হলে বিশ্বজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিশেষ করে যখন জানা যায়, মোহসেন সিরিয়ান প্রিমিয়ার লিগের কোচ ছিলেন, তখন ফুটবল বিশ্বে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
পরে স্পেনের শহর গেটাফের ফুটবল স্কুল সিনাফ যায়িদের বাবাকে চাকরি ও আবাসনের ব্যবস্থা করে দেয়। পরিবারটির ভাগ্য বদলে যায়। যায়িদের আরেক ভাই মোহাম্মদও তাদের সঙ্গে গেটাফে আসেন।
রিয়াল মাদ্রিদযায়িদ ও তার পুরো পরিবার রিয়াল মাদ্রিদের ভক্ত। সেটি জানতে পেরে রিয়াল সভাপতি ফ্লোরোন্তিনো পেরেজ গত পরশু প্র্যাকটিসেই আমন্ত্রণ জানান মোহসেন ও তাঁর দুই সন্তানকে।
মোহসেন পরিবারের তিনজনকে বার্নাব্যুতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পেরেজ। ভিআইপি গ্যালারিতে বসে তিনজনের খেলা দেখার কথা ছিল। কিন্তু শুরুতেই চমক। রোনালদোর হাত ধরে মাঠে নামে যায়িদ। পূরণ হয় তার একটি স্বপ্ন। সূত্র-প্রথম আলো
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫,এমটি নিউজ২৪/আরিফুর/রাজু