শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০১৯, ০২:১২:৩৯

প্রথম মেসি, দ্বিতীয় মেসি, তৃতীয় মেসি!

প্রথম মেসি, দ্বিতীয় মেসি, তৃতীয় মেসি!

স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথম মেসি, দ্বিতীয় মেসি, তৃতীয় মেসি! প্রথম হলেই যে ক্লাসে একজন ছাত্রই থাকতে হবে সব সময় তা হওয়ার দরকার পড়ে না। মেসির বেলায় তো একেবারেই না। কারণ বার্সোলোনার ইতিহাস তো আর একদিনের নয়। পুরো দশটি যুগ অর্থাৎ একশ বিশ বছর কাটিয়ে ফেলেছে ১৮৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া দলটি।

সেই দলটি সম্প্রতি বার্সেলোনার সেরা গোলগুলো খুঁজে পেতে একটি অনলাইন ভোটের আয়োজন করেছিল। বার্সোলোনায় তো বিখ্যাত ফুটবলাররা আর কম দৌড়াননি বা কম গোল করেননি। তাই গত তিন মাস ধরে শোনা যাচ্ছিল সেরা গোল নিয়ে অনেক ধরনের কথাবার্তা। তারপরও যে ফলাফল এসেছে তা অবাক করার মতোই। এ তালিকার শীর্ষে থাকা গোলটি করেছেন ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি লিওনেল মেসি, দ্বিতীয়তে থাকা গোলটিও করেছেন মেসি, তৃতীয় গোলটিও এসেছে মেসির পা থেকেই। চতুর্থ স্থানটি দখলে নিতে পেরেছেন সার্জিও রবার্তো। অর্থাৎ ক্লাসে ছাত্র অনেকে থাকলেও প্রথম তিনটি স্থানই মেসির!

তিন গোলের মধ্যে প্রথম সেরা নির্বাচিত হয়েছে ২০০৬-০৭ মৌসুমে কোপা ডেল রের সেমিফাইনালে গেটাফের বিরুদ্ধে করা তার সেই আলোচিত গোলটি। তাতে মেসি বলটি আটকেছিলেন নিজেদের সীমানাতেই। তারপর দশ সেকেন্ডের ভেতর চার ডিফেন্ডারের জাল কেটে ৬০ মিটার দৌড়ে বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। তারপর গোলরক্ষককে একটু ডজ। তাতেই গোলরক্ষক চলে যান অনেকটা সামনে। মেসিও এগিয়ে যান আরেকটু। সেখান থেকে কাট করে বল জালে পাঠিয়ে দেন। ফিনিশিংয়ের আগ পর্যন্ত ১৩ বার বল টাচ করেন এই ফরোয়ার্ড। এ গোলটি পেয়েছে ৪৫ শতাংশ ভোট।

ম্যারাডোনা ৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সাথে খেলা ম্যাচে অনেককে কাটিয়ে গোল দিয়ে ফুটবলমোদীদের চোখে ধাঁধা লাগিয়ে দিয়েছিলেন। মেসির গোলটিকেও এ গোলের সাথে তুলনা করা হয়।

বার্সার ইতিহাসে দ্বিতীয় সেরা গোলটি আসে ২০১৪-১৫ মৌসুমে, কোপা ডেল রের ফাইনালে। আতলেতিকো মাদ্রিদের জালে ঢোকানো মেসির এই গোলটি পেয়েছে ২৮ শতাংশ ভোট। তৃতীয় সেরা গোল ২০১০-১১ মৌসুমে, চির প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে। এই গোলটি পেয়েছে ১৬ শতাংশ ভোট। ৬০টি এলিমিনেটরি রাউন্ড শেষে মোট চারটি গোল গত সপ্তাহে চূড়ান্ত ভোটের জন্য নির্বাচিত হয়। চতুর্থ সেরা গোল নির্বাচিত হয় ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগে পিএসজির বিপক্ষে করা সার্জি রবার্তোর একটি গোল।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে