পাকিস্তান সুপার লিগে মুস্তাফিজুরকে খেলতে বিসিবির নিষেধ!

স্পোর্টস ডেস্ক : মুস্তাফিজুর রহমানকে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলা থেকে বিরত রাখার কথা ভাবছে বিসিবি। প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণ দিয়ে হলেও খেলতে নিষেধ করা হতে পারে ক্রিকেট বিশ্বে চমক জাগানো এই পেসারকে। পিএসএলের নিলামে মুস্তাফিজকে দলে নেয় লাহোর কালান্দার্স। ‘গোল্ড’ ক্যাটেগরির ক্রিকেটার হিসেবে মুস্তাফিজ পাবেন ৫০ হাজার ডলার। তবে মুস্তাফিজকে আদৌ পিএসএলে খেলতে দেওয়া উচিত কিনা, সেটা নিয়ে ভাবছে বিসিবি। বোর্ডের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র নিশ্চিত করেছেন, ভাবনা প্রথম আসে মাশরাফি বিন মুর্তজার মাথায়। মুস্তাফিজের বোলিং এখনও ক্রিকেট বিশ্বের অনেক ব্যাটসম্যানের কাছে রহস্য। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সেই রহস্যের জট খোলার পথ করে দিতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক। বাইরের লিগে খেললে মুস্তাফিজের বোলিং কিছুটা হলেও উন্মুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকেই। প্রযুক্তির এই যুগে আস্তে আস্তে তার বোলিং এমনিতেও পড়তে শুরু করবে বিপক্ষ দলগুলি। তবে বিশ্বকাপের আগে ঝুঁকিটা নিতে চান না মাশরাফি। বিসিবির ওই সূত্র জানিয়েছে, মুস্তাফিজের সম্ভাব্য চোট-শঙ্কাও ভাবাচ্ছে মাশরাফিকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম মৌসুসেই অনেক ম্যাচ খেলতে হয়েছে তরুণ পেসারকে। টুকটাক চোটের কারণে বিপিএলের শেষ দিকে নিজের মূল অস্ত্র ‘কাটার’ ঠিকঠাক করতে পারেননি মুস্তাফিজ। শরীরটাও এখনও সুগঠিত নয়। ক্যারিয়ারের শুরুতে মাশরাফি নিজে অতি বোলিং করে যেভাবে ক্যারিয়ারটাই ঝুঁকিতে ফেলেছিলেন, সেই একই ভুলের পথে মুস্তাফিজকেও ঠেলে দিতে চান না অধিনায়ক। বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস স্বীকার করলেন, মুস্তাফিজের ব্যাপারটা গুরুত্ব দিয়েই ভাবছে বোর্ড। তবে তাকে অন্যদের পড়ে ফেলার শঙ্কা নয়, বিসিবির এই পরিচালক জানালেন চোট নিয়ে শঙ্কার কথাই। “মুস্তাফিজের চোট শঙ্কাই বেশি ভাবাচ্ছে আমাদের। এখনও বয়স কম ওর, খুবই তরুণ। এই বয়সেই এত বেশি চাপ নেওয়া ওর ঠিক হবে না। ওর শরীর বিদ্রোহ করে বসতে পারে। সব মিলিয়েই আমরা ভাবছি ওকে পিএসএলে পাঠানো ঠিক হবে কিনা। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।” বিসিবির ওই সূত্র জানিয়েছে, নিজের ভাবনার কথা ইতিমধ্যেই বিসিবি প্রধানকে জানিয়েছেন মাশরাফি। এমনকি বাংলাদেশ অধিনায়ক এমন প্রস্তাবও দিয়েছেন, প্রয়োজনে যেন ক্ষতিপূরণ দিয়ে হলেও পিএসএলে না পাঠানো হয় মুস্তাফিজকে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ভাবনা নিয়ে অবশ্য কিছু জানেন না বলে দাবি করলেন জালাল ইউনুস। “ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সত্যি বলতে আমি কিছু জানি না। তবে সে রকম কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে নিশ্চয়ই ভাবা হবে। ক্রিকেট অপারেশন্স ও সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তারা গুরুত্ব দিয়েই ভাববেন। দেশের ক্রিকেটের স্বার্থই সবকিছুর আগে।” মাশরাফি নিজের ভাবনাটা কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহেকেও জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে বিসিবির ওই সূত্র। সিদ্ধান্তটি এখন নাকি অনেকটা নির্ভর করছে কোচের ওপরই। কোচও নীতিগতভাবে একমত। তিনিও হয়ত অনুরোধ করবেন বিসিবিকে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত বিসিবিরই। ৮ জানুয়ারি/এমটিনিউজ/এসএস/এসবি