স্পোর্টস ডেস্ক : তার আচরণ এবং কর্মকাণ্ডের সমালোচনা হয়; কিন্তু ক্রিকেটার সাকিবের মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে একটি তীর্যক কথাও হয় না। অতিবড় সমালোচকও তার মাঠের পারফরম্যান্সের প্রশংসা না করে পারেন না।
খেয়ালি আচরন, শৃঙ্খলা বিরোধী এবং মাঠ ও মাঠের বাইরে নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার পরও তাই পারফরমার সাকিব সব বিতর্কের উর্ধে। আরও পড়ুন: আগে পেয়েছিলেন আশরাফুল, এবার পেলেন তামিম!
অনেক শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করে বিতর্কে জড়িয়েও মাঠে ফিরেও সেই চেনা সাকিবের দেখাই মেলে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্টে বল হাতে নিয়েই ৫ উইকেট শিকার করে সাকিব দেখিয়ে দিয়েছেন এই ফরম্যাটে তার বল এখনো আগের মতই কার্যকর।
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে কোন ম্যাচ জেতাতে না পারলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচে ৫২ বলে ৬৮ রানের হার না মানা ইনিংস উপহার দিয়ে সাকিব প্রমাণ দিলেন, আমার ব্যাট এখনো বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য।
মোটকথা, যখনই ব্যাট ও বল হাতে মাঠে ফিরেছেন, প্রতিবার সাকিব ‘সাকিবে’র মতই জ্বলে উঠেছেন। প্রতিপক্ষর কাছ থেকে সর্বাধিক সমীহ আদায় করে নিয়েছেন।
তবে একটা বিষয় লক্ষ্যনীয় ছিল যে, মাঠের সাকিব সব সময় আগের রূপে ফিরলেও মাঠে নামার আগে কখনোই সেভাবে কঠোর অনুশীলন করেন না। বাকিরা যতটা রুটিন করে অনুশীলনে সিরিয়াস, সাকিব তেমন না। অতিবড় সাকিব ভক্তও বলতে পারবেন না অনুশীলনে সাকিব কখনোই খুব সিরিয়াস।
মুশফিকের মত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করা, অনুশীলনে বাকিদের চেয়ে বেশি সময় দেয়া, সবার আগে প্র্যাকটিসে এসে সবার পরে ড্রেসিং রুমে ফেরার নজির নেই সাকিবের।
রিয়াদের মত বেশিকরে ফিজিক্যাল ট্রেনিং বেশী করে ওজন কমিয়ে ফেলার কাজটিও করেননি সাকিব। এক কথায় যতটুকু না করলে নয় ঠিক ততটুকুই করেন। প্র্যাকটিসে বাড়তি সময় ব্যয় করেন না কখনো।
কিন্তু এবার যেন তার ব্যতিক্রম। অনেক ঘটনার পর টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হয়ে কেমন যেন বদলে গেছেন সাকিব। অনুশীলনে মনোযোগি। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে একাগ্রতা বেশি। একা একা বাড়তি সময় নিয়ে নিজেকে তৈরির চেষ্টা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে ঠিক পরদিন সকাল সকাল শেরে বাংলায় ছুটে এসেছিলেন অনুশীলনে। মাঝখানে গতকাল ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বন্ধ ছিল তার অনুশীলন।
আজ মঙ্গলবার ঘড়ির কাটা সকাল ১০টা ছোঁয়ার একটু আগে আবার হোম অব ক্রিকেটে দেখা মিললো সাকিবের। আগে যা কখনও করেননি এবার তাই করে দেখালেন সাকিব!
যেহেতু অফিসিয়াল প্র্যাকটিস ক্যাম্প নেই। তাই ব্যক্তিগত পর্যায়ের অনুশীলন করাই লক্ষ্য। সাকিবও তাই করলেন। এদিনও নিজের মত করে প্র্যাকটিসে এসেছিলেন। ব্যাটিং আর বোলিং করলেন একা একা।
প্রায় ২ ঘণ্টা গভীর মনোযোগ দিয়ে ব্যাটিং-বোলিং প্র্যাকটিস করে নিরবে-নিভৃতে মাঠ ছাড়লেন যথারীতি কারো সঙ্গে কোন কথা না বলে।