স্পোর্টস ডেস্ক: আজ রোববার থেকে কাতারে শুরু হতে চলেছে ফুটবল বিশ্বকাপ। এই প্রথম বার মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশে হবে খেলা। কাতার বিশ্বকাপ কাঁপাতে প্রস্তুত যে ৮ তারকা, দেখে নেওয়া যাক।
লিওনেল মেসি: আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। এ বারই শেষ বার বিশ্বকাপ খেলতে নামবেন মেসি। তিনিই আর্জেন্টিনা দলের সব থেকে বড় ভরসা। চারটি বিশ্বকাপ খেললেও এখনও পর্যন্ত ট্রফি জিততে পারেননি মেসি। এ বারই শেষ সুযোগ। ট্রফি জেতা ছাড়াও মারাদোনাকে টপকে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে তার সামনে।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো: পর্তুগালের অধিনায়ক। ১৯ বছর ধরে দেশের হয়ে খেলছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার কোনও ইঙ্গিতও তিনি দেননি। ২০২৪ সাল পর্যন্ত দেশের হয়ে খেলতে পারেন তিনি কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপ জিততে পারেননি।
পাঁচ বার ফিফার সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন রোনালদো। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সব থেকে বেশি গোল করেছেন তিনি। ১৯১ ম্যাচে ১১৭টি গোল রয়েছে তার। তাই রোনালদোর দিকে তাকিয়ে পর্তুগাল সমর্থকরা। মেসির মতো হয়ত এ বারই শেষ সুযোগ তার।
নেইমার: ব্রাজিলের প্রধান ফুটবলার। ২০১১ সালে অভিষেকের পর থেকে অনেক কিছুই বদলেছে তার জীবনে। উত্থান-পতন দেখেছেন। দেশের হয়ে সাফল্যও রয়েছে কিন্তু ৩০ বছর বয়সে এবার তার থেকে বিশ্বকাপ চাইছে ব্রাজিল।
পরের বিশ্বকাপে খেলবেন কি না, জানেন না নেইমার। খেললেও বয়স অনেক বাড়বে। তাই ট্রফি হাতে তোলার এটাই নেইমারের কাছে সুবর্ণ সুযোগ। ক্লাবস্তরে প্রায় সব ট্রফিই জিতেছেন। বিশ্বকাপটা তোলা বাকি। আর এবারের বিশ্বকাপে টপ ফেবারিটও ধরা হচ্ছে ব্রাজিলকে।
থমাস মুলার: জার্মান দলের স্ট্রাইকার। ফুটবল বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত ১৬টি ম্যাচ খেলে ১০টি গোল করেছেন তিনি। নিজের দেশেরই মিরোস্লাভ ক্লোজ়েকে (১৬টি গোল) ছাপিয়ে যাওয়ার সুযোগ তার রয়েছে। গত বিশ্বকাপে তেমন খেলতে পারেননি মুলার। গত বিশ্বকাপের ব্যর্থতা ঘুচিয়ে নিজের নামের প্রতি সুনাম করতে চাইবেন মুলার।
হ্যারি কেন: ইংল্যান্ড অধিনায়ক। গোলের জন্য তার দিকেই তাকিয়ে থাকে ইংল্যান্ড। যোগ্যতা অর্জন পর্বের আট ম্যাচে ১২টি গোল করেছেন তিনি। প্রতি ৪৯ মিনিটে একটি গোল করেছেন ২৯ বছরের স্ট্রাইকার। গত বিশ্বকাপে ৬টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার সোনার বুট জিতেছিলেন কেন।
গাভি: মাত্র ১৮ বছর বয়স হলেও স্পেনের কোচ লুই এনরিকের প্রধান ভরসার জায়গা তিনি। মাঝমাঠে খেলেন। একই সঙ্গে আক্রমণ ও রক্ষণে সমান দক্ষ। গাভির সব থেকে বড় সুবিধা, আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিনি আনকোরা। তাই প্রতিপক্ষ তাকে নিয়ে বেশি পরিকল্পনা করতে পারবে না। সেই সুবিধা কাজে লাগাতে চাইছেন এনরিকে।
কেভিন দ্য ব্রুইন: বেলজিয়ামের মাঝমাঠে থাকবেন কেভিন দ্য ব্রুইন। ম্যানচেস্টার সিটির এই তারকা ফুটবলারের দিকে নজর রাখতেই হবে। সিটির এটাকিং মিডফিল্ডার তিনি। একার ক্ষমতায় ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন ব্রুইন। সে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা প্লে-মেকার।
ফ্রেঙ্কি দি জং: এ বারের বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের প্রধান ভরসা ফ্রেঙ্কি দি জং। মাঝমাঠে তিনিই তৈরি করেন দলের খেলা। ২৫ বছরের ফুটবলারের সব থেকে বড় গুণ পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারার ক্ষমতা। তাই তার উপর অনেকটাই নির্ভর করেন কোচও।