স্পোর্টস ডেস্ক : তিন ম্যাচে ১৯৯ রান করে সিরিজ সেরার পুরস্কার নিয়ে গেলেন বিরাট কোহলি। শেষ ম্যাচেও অসি পিচের সঙ্গে তার ‘ভালবাসার সম্পর্ক’ অব্যাহত। রোহিতের সঙ্গে জুটি বেঁধে চোখ–ধাঁধানো অর্ধশতরান করে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছনোর কান্ডারি কোহলিই। ম্যাচের পর তার বক্তব্য, ‘হোয়াইটওয়াশ! কথাটা শুনতেও মিষ্টি লাগছে। সিডনিতে শেষ একদিনের ম্যাচের আগেই আমরা ঠিক করে নিয়েছিলাম, ৪–৪ করে ফিরব।’
অস্ট্রেলিয়া সফরে তার জয়গাথা নিয়ে কোহলির মম্তব্য, ‘এই দেশে আসতে আমি ভালবাসি, কারণ একটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ, আমি এখানে নিজেকে খুঁজে পাই। স্বাভাবিক থাকতে পারি, যেখানে খুশি চলাফেরা করতে পারি। বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় তা নেই। কখনও কখনও খেলা থেকে নিজের মন সরিয়ে ভাবতে হয়, আপনি কে, কী চান। সেটা অস্ট্রেলিয়ায় এসে আমি পাই। মানুষ আমাদের খেলা তারিফ করে, জানি।’
তবে এই ভালবাসার সম্পর্ক কিন্তু সহজে শুরু হয়নি। ২০১১–১২ সফরে দর্শকদের দিকে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করে সমালোচনা শিকার হয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু নিজেই জানালেন, সেই অধ্যায় পেরিয়ে এসেছেন। ‘ওরা আপনাকে শ্রদ্ধা করে এবং ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করে না। এটাই আমার পছন্দ। যখন এসেছিলাম, তখন ব্যাপারটা অন্যরকম ছিল।’
হাফ–সেঞ্চুরি হওয়ার পর এদিন হঠাৎই বয়েসের বলে আউট হয়ে যান কোহলি। জয়ের বেশ কিছুটা দূরে তখন ভারত। সেই ম্যাচ শেষ করে আসার জন্য সতীর্থ সুরেশ রায়না এবং যুবরাজ সিংয়ের প্রতি প্রশংসা উজাড় করে দেন কোহলি। বলেন, ‘আমি খেলাটা শেষ করে আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আউট হওয়ার পর যেভাবে যুবি আর রায়না ম্যাচটা শেষ করল, তা প্রশংসনীয়। যুবি কম বল খেলেছে, কিন্তু যা পেয়েছে, কাজে লাগিয়েছে। আমরা ওর থেকে এটাই চাই। আরও আত্মবিশ্বাসী যুবিকে দেখতে চাই।’
০১ ফেব্রুয়ারী,২০১৬/এমটিনিউজ/এসএস/এসবি