স্পোর্টস ডেস্ক : আইসিসিতে অবশ্য তিনি কী ভাবে খেলবেন, তার গেমপ্ল্যান আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহর। সেই মতোই এ দিন ঝোড়ো ইনিংস খেলে গেলেন। গত বছর প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিসিসিআইয়ের দায়িত্ব নতুন করে নেওয়ার দিনই মনোহর বলেছিলেন, শ্রীনির ছায়া তিনি মুছে দেবেন।
বিসিসিআই থেকে শ্রীনির প্রভাব আগেই দূর হয়েছিল। এ বার আইসিসি থেকেও হল। আইসিসির চেয়ারম্যান মনোহর এ দিন বৈঠকে প্রস্তাব দেন, ২০১৪ সালে আইসিসি-তে যে সব গঠনতান্ত্রিক বদল হয়েছিল, তা পুরোপুরি রিভিউ করে দেখা হোক।
বছর দেড়েক আগে আইসিসি-র দায়িত্বে এসে শ্রীনিবাসন নিজের হাতেই প্রায় সমস্ত ক্ষমতা তুলে নিয়েছিলেন। তৈরি করেছিলেন তিন মোড়লের জোট। যেখানে আইসিসির ভাগ্যনিয়ন্তা ছিল ভারত-ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া বোর্ড। শ্রীনির জায়গায় চেয়ারম্যান হয়ে তার প্রথম বৈঠকেই এই ত্রিপাক্ষিক জোটকে মুছে দিলেন মনোহর। স্থায়ী সদস্য হিসেবে আইসিসিতে আর কোনও অস্তিত্ব রইল না তিন মোড়লের। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট এ দিন দুবাইয়ে পরিষ্কার বলে দিলেন, ‘‘কোনও সদস্যই অন্য সদস্যের চেয়ে বড় নয়। কারও হাতেই অতিরিক্ত ক্ষমতা থাকবে না।’’
শ্রীনিবাসনের সময় ঠিক হয়, ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিরা আইসিসির ফিনান্স কমিটি এবং এগজিকিউটিভ কমিটিতে স্থায়ী সদস্য হিসেবে থাকবেন। এবং তিনটি বোর্ডই বিশেষ আর্থিক সুবিধা ভোগ করবে। এ দিন মনোহর বিগ থ্রি-র সেই ক্ষমতা মুছে দিলেন। একই সঙ্গে ঠিক হল, স্বার্থ-সংঘাত এড়াতে কেউ আইসিসি চেয়ারম্যান হলে তিনি আর দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কোনও পদে থাকতে পারবেন না। শ্রীনিবাসনের জায়গায় আসা মনোহরের এ বছরই মেয়াদ শে হচ্ছে।
২০১৬ সালের জুন মাসে যিনি চেয়ারম্যান পদের জন্য লড়বেন, তাকে পড়তে হবে এই নতুন নিয়মের আওতায়। যে নিয়ম আরও বলছে, চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচনে লড়তে গেলে প্রার্থীকে হয় সাবেক বা বর্তমান আইসিসি বোর্ড ডিরেক্টর হতে হবে আর অন্তত দু’জন পূর্ণ সদস্য ডিরেক্টরের সমর্থন পেতে হবে।
৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস