স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপের আগে থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের উত্তপ্ত ইস্যু তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসান। মাঠের ক্রিকেটের বাইরে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিলেন এই দুজন।
তাদের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব বরাবরই ছিল আলোচনার টেবিলে। সাকিব আল হাসান নিজের কথাগুলো বলে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপের আগেই। এক বেসরকারি টেলিভিশনে নিজের বক্তব্য খোলাখুলিভাবেই বলেছিলেন সাকিব।
তামিম এরপর অবশ্য চুপই ছিলেন। লম্বা সময় পর অবশেষে তামিমও হাজির হয়েছেন নিজের বক্তব্য নিয়ে। এবারও এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সামনে এসে নিজের কথাগুলোই বললেন তামিম। জানালেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাকে ফেরাতে হলে অনেক কিছুই ঠিক করতে হবে।
তামিম ইকবালকে নিয়ে সাকিবের অভিযোগ ছিল অনেক। ওপেনিং পজিশন ছেড়ে তামিম খেলতে অপরাগতা জানিয়েছিলেন, তারই জবাবে সাকিব বলেছিলেন শিশুসুলভ মানসিকতার কথা। লম্বা সময় পর তামিমের কাছে জানতে চাওয়া হলো সেই প্রসঙ্গে।
উত্তরে তামিম জানালেন, তিনি গণমাধ্যমের সামনে সতীর্থকে নিয়ে কথা বলার মত মানুষ নন, ‘সবারই নিজস্ব ব্যক্তিত্ব আছে, চিন্তাভাবনা-কথা বলার আলাদা ধরণ আছে। তবে আমি এমন কেউ না, যে মিডিয়াতে নিজের কলিগকে নিয়ে কথা বলব।
তামিম জাতীয় দলে ফিরবেন কি না, সেটাই এখন বড় এক প্রশ্ন। উত্তরটা তামিম এর আগেও দিয়েছেন, ‘একটা জিনিস ভুল। আমি বলেছিলাম যে, আমাকে ফিরাতে হলে অনেক কিছু ঠিক করতে হবে। অনেক কিছু পরিবর্তন করতে হবে এবং ঠিক করতে হবে, এর মধ্যে পার্থক্য আছে। আমাকে ফেরাতে হলে সব নিয়ম পরিবর্তন করতে হবে, এটা আমি কখনো বলব না।’
হাথুরু থাকলে তামিম ফিরবেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে এক লাইনে তামিম বলেছেন, ‘আমার ফেরাটা কঠিন হবে, এতটুকু বলতে পারি।’ এরপরেই অবশ্য বলেছেন, 'যেহেতু ওনারা আমাকে আরেকটা মিটিংয়ে ডেকেছে, আমার উচিত তাদের প্রতি সম্মান দেখানো। যদি মিটিংটা আজকে হয়ে যেতো তাহলে এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিতে পারতাম। কিন্তু আমাকে সেই মিটিং পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’