স্পোর্টস ডেস্ক : সুখে থাকতে ভূতে কিলায়- প্রবাদের মতো দশা হয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। চেন্নাইয়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন তারা। তাদের এমন সফলতার অন্যতম নায়ক রোহিত শর্মা। টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দুই অধিনায়কের একজন তিনি।
এক দশক ধরে মুম্বাইয়ের নেতৃত্ব দিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ভালো-মন্দ, শক্তি-দুর্বলতা সম্পর্ক ভালো জানাশোনা আছে রোহিতের। তবে সর্বশেষ তিন বছরের শিরোপা-খরা ঘোচাতে রোহিতের পরিবর্তে হার্দিক পাণ্ডিয়াকে অধিনায়ক বানিয়েছে মুম্বাই। এতেই দলটির ড্রেসিংরুমে অশান্তি তৈরি হয়েছে।
মূলত, গুজরাট টাইটান্সে হার্দিকের দুর্দান্ত অধিনায়কত্ব দেখে তাকে আবার ফিরিয়ে এনে অধিনায়কত্বও দেয় মুম্বাই ফ্র্যাঞ্চাইজি।
কিন্তু এমন পরিবর্তন মেনে নিতে পারেননি মুম্বাইয়ের সমর্থকরা। এ জন্য মাঠে দুয়ো শুনতে হচ্ছে হার্দিককে। এদিকে মাঠের পারফরম্যান্সও ভালো যাচ্ছে না তাদের। হার্দিকের নেতৃত্বে এবারের লিগে এখন অবধি দুই ম্যাচ খেলে জয়ের দেখা পায়নি মুম্বাই। এর প্রভাব পড়েছে দলটির ক্রিকেটারদের ওপর।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক জাগরণ তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, হার্দিক ফিরে আসার পরে দলের পরিবেশ আগের মতো নেই। এমনকি ড্রেসিংরুম দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। যেখানে রোহিতের পক্ষে জাসপ্রীত বুমরাহ, সূর্যকুমার যাদব, তিলক ভার্মাসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আছেন। আরেক দিকে হার্দিকের সঙ্গে আছেন ইশান কিষানসহ কয়েকজন ক্রিকেটার।
সঙ্গে হার্দিকের শক্তির জায়গা তার পক্ষে আছে মুম্বাইয়ের মালিক পক্ষ। হার্দিকের অধিনায়কত্বের ওপর আস্থা রেখে মোটা অঙ্ক খরচ করে তাকে দলে টেনেছে।
এর আগে ২০১৫ সালে মুম্বাইয়ের জার্সিতে আইপিএল অভিষেক হয় হার্দিকের। ২০২১ সাল পর্যন্ত সেখানে খেলেই নিজেকে ভারত দলের অপরিহার্য অংশ বানান। ২০২২ সালে মুম্বাই তাকে ছেড়ে দিলে নবাগত গুজরাটে যোগ দেন অধিনায়ক হিসেবে। তার নেতৃত্বে গুজরাট প্রথম মৌসুমেই শিরোপা ঘরে তোলে।