স্পোর্টস ডেস্ক : সিরিজ বাঁচানোর লক্ষ্যে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে নেমেছে বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
ফলে সিলেট টেস্টের পর চট্টগ্রামেও আগে ফিল্ডিং করবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। দীর্ঘ এক বছর পর এই ম্যাচ দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। সব মিলিয়ে দুই পরিবর্তন নিয়ে টাইগাররা একাদশ সাজিয়েছে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সকাল ১০টায়। ম্যাচটিতে আগে থেকেই এক পরিবর্তনের কথা ধারণা করা গিয়েছিল। তবে সাকিবকে সুযোগ করে দিতে কোনো ব্যাটার বসতে পারেন ভাবা হলেও, বাড়তি ব্যাটসম্যান নিয়েই নামছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়ে টেস্টে অভিষেক হচ্ছে পেসার হাসান মাহমুদের। ফলে বাদ পড়েছেন সিলেট টেস্টে খেলা দুই পেসার নাহিদ রানা ও শরিফুল ইসলাম।
টেস্ট ফরম্যাটে বাংলাদেশের ১০৪তম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হচ্ছে পেসার হাসান মাহমুদের। এর আগে ২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেক হয়েছিল। পরের বছরের জানুয়ারিতে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় এই ডানহাতি পেসারের। এখন পর্যন্ত তিনি ২২টি ওয়ানডে ও ১৭টি টি–টোয়েন্টি খেলেছেন।
এই ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর সাদা পোশাকের দলে ফিরেছেন সাকিব। গত বছরের এপ্রিলের পর তাকে আর লাল বলের ক্রিকেটে দেখা যায়নি। টাইগারদের সাবেক এই অধিনায়ক ফেরায় স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে টাইগার শিবির। ব্যাটিং ব্যর্থতায় রেকর্ড ৩২৮ রানে সিলেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। ফলে সিরিজ বাঁচাতে লঙ্কানদের বিপক্ষে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। সাকিব নিজেও এই টেস্টের দলে ফেরার পর ‘অবশ্যই জেতা উচিৎ’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে, লঙ্কান একাদশেও নিশ্চিতভাবে বোলিংয়ে একটি পরিবর্তন আসবে জানা ছিল। চোটের কারণে সিলেট টেস্ট খেলা কাসুন রাজিথা এই ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন। ফলে তার পরিবর্তে ডাক পাওয়া আসিথা ফার্নান্দোকে এবার একাদশেও রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ একাদশ : মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।
শ্রীলঙ্কার একাদশ : দিমুথ করুণারত্নে, নিশান মাদুশকা, কুশল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দিনেশ চান্দিমাল, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা (অধিনায়ক), কামিন্দু মেন্ডিস, লাহিরু কুমারা, প্রবাথ জয়সুরিয়া, আসিথা ফার্নান্দো ও বিশ্ব ফার্নান্দো।