স্পোর্টস ডেস্ক : কোন প্রস্তুতি ছাড়াই পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলবেন সাকিব আল হাসান! ১২ আগস্ট পর্যন্ত গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে তার অনাপত্তিপত্র থাকায়, সাকিব যোগ দিচ্ছেন না টাইগারদের কন্ডিশনিং ক্যাম্পেও।
এমনকি দলের সঙ্গে একই বিমানে সাকিব পাকিস্তান যেতে পারবেন কি না, তা নিয়েও দ্বিধায় বিসিবি। এদিকে দেশের পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় ৩ আগস্ট থেকে চট্টগ্রামের পরিবর্তে ঢাকায় হবে ক্রিকেটারদের কন্ডিশনিং ক্যাম্প। চলবে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত।
প্রায় পাঁচ মাস পর পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে সাদা পোষাকের ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হওয়ায় যে সিরিজ পাচ্ছে বাড়তি গুরুত্ব। সিরিজকে সামনে রেখে দম ফেলার ফুরসত নেই টাইগার ক্রিকেটারদের। চট্টগ্রামে প্রস্তুতি ম্যাচ তো আছেই, টেস্ট দলের সদস্য জয় দিপু সাদমানরা চারদিনের ম্যাচ খেলেছে তাসমানিয়া পাড়ে। তবে ব্যতিক্রম সাকিব।
যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট মেজর লিগ ক্রিকেট শেষ করে সাকিব এখন খেলছেন কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে। বাংলাদেশের সবার এনওসি ৮ আগস্ট পর্যন্ত থাকলেও সাকিব অনাপত্তিপত্র পেয়েছেন ১২ তারিখ পর্যন্ত। অর্থাৎ কোন প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়াই টেস্ট সিরিজ খেলতে নামবেন টাইগার অলরাউন্ডার।
এখানেই শেষ নয়। জানা গেছে, দেশের চলমান পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় জাতীয় দলের ক্যাম্প নিয়ে পূর্বের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে বিসিবি। সোমবার (২৯ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া লাল ও সবুজ দলের তিন দিনের ম্যাচ শেষে বাকি কন্ডিশনিং ক্যাম্প সাগরিকার পরিবর্তে হবে হোম অব ক্রিকেটে। যা শুরু হবে ৩ আগস্ট থেকে। তবে সেই ক্যাম্পে থাকছেন না সাকিব আল হাসান।
ব্যাটিংয়ে ভুগছেন দীর্ঘদিন। চোখের সমস্যার জন্য তার হেড পজিশন নিয়েও আছে অস্বস্তি। সব মিলিয়ে কোন প্রস্তুতি না নিয়ে টেস্টের জন্য সাকিব কতটা প্রস্তুত উঠেছে সেই প্রশ্নও।
এখানেই শেষ নয়। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে সাকিবের দল ফাইনাল খেললে টাইগারদের সঙ্গে একই বিমানে চেপে তিনি পাকিস্তান যেতে পারবেন কি না তা নিয়েও আছে সংশয়। কারণ ১৬ আগস্ট রাতে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল।
সাকিব না থাকলেও বাংলাদেশের কন্ডিশনিং ক্যাম্পের শেষ দিকে যোগ দেবেন গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ খেলা টেস্ট দলের আরেক সদস্য শরিফুল ইসলাম। অর্থাৎ এখানেও চীনের মতো এক দেশে দুই নীতিতে হাঁটছে বিসিবি। সাকিবরা বাড়তি সুবিধা পান, শরিফুলরা বাধ্য হন।