স্পোর্টস ডেস্ক : মাঠে গোল হজম করেছে দল। তাতে গ্যালারিতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠে সমর্থকরা। অতর্কিত হামলা চালায় প্রতিপক্ষের সমর্থকদের উপর। চলে পাল্টা হামলা। হাতাহাতি-মারামারি এমনকি ছুরি নিয়েও চালানো হয় হামলা। আর তাতে কমপক্ষে আহত হয় ২০ জন। বন্ধ হয়ে যায় খেলা। নিরাপত্তা শঙ্কায় তৎক্ষণাৎ লকার রুমে প্রবেশ করেন খেলোয়াড়রা।
এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে কলম্বিয়ান লিগে। অ্যাতলেটিকো ন্যাসিওনালের মাঠ এস্তাদিও অ্যাতানাসিও জিরারদত স্টেডিয়ামে খেলতে গিয়েছিল জুনিয়র এফসি। ম্যাচের তখন সময় ৫৬ মিনিট। জুনিয়রের জালে দ্বিতীয় বলটি জড়ান হিনোসত্রোজা। তাতে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় অ্যাতলেটিকো।
জোড়া গোলে দলের পিছিয়ে পড়া মেনে নিতে পারেননি জুনিয়রের সমর্থকরা। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মার্কা বলছে, জুনিয়রের প্রায় ৩০০ সমর্থক স্বাগতিক দলের সমর্থকদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। দ্বন্দ্ব রূপ নেয় সহিংসতায়। হাতাহাতি-মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন দুদলের সমর্থকরা। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ছুরি নিয়েও হামলা করতে দেখা যায়।
এতে প্রায় ২০ জন সমর্থক আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করে পুলিশ। যাদের বেশিরভাগই ছুরিকাঘাতে আহত। মাঠের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ৬০ মিনিটেই খেলা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন রেফারি। কারণ নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে সহিংসতা তখন মাঠ পর্যন্ত চলে যায়। শঙ্কায় দ্রুত মাঠ ছেড়ে লকার রুমে গিয়ে নিরাপত্তা নেয় দুদলের ফুটবলাররা।
সহিংসতার বেশ কিছু ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সে সময় মাঠের অবস্থা এমন করুণ আকার ধারণ করেছিল যে, সংবাদকর্মীদের উপর হামলা শুরু হয়ে যায়। তাতে বাধ্য হয়ে সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় ব্রডকাস্টার প্রতিষ্ঠান।
এদিকে হামলায় আহতদের স্টেডিয়ামে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো নিহত এবং আটকের তথ্য পাওয়া যায়নি।