স্পোর্টস ডেস্ক : ভুল দর্শনে চলছে দেশের ক্রিকেট। দীর্ঘ মেয়াদে কোনো পরিকল্পনা নেই, শুধু স্বল্প সময়ে সাফল্য খোঁজার আপ্রাণ চেষ্টা বোর্ডের। তাইতো কোনো ফরম্যাটেই নিজেদের অবস্থান পোক্ত করতে পারছে না টাইগাররা, বলছেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রশ্ন তুলেছেন বিসিবির এইচপি ইউনিট কিংবা বাংলা টাইগার্স প্রোগ্রামের ধরন নিয়েও।
ম্যাচ আসে ম্যাচ যায়, ভেন্যু বদলায়, বদলায় ফরম্যাট। তবে টাইগারদের হতশ্রী পারফম্যান্সের দেখা যায় না ইতি। সমাপ্তি টানা হয় না ব্যর্থতার। মাঝে মধ্যে ফ্লুক হয়ে ধরা দেয় সাফল্য, তাতেই বোর্ড কর্তা কিংবা ক্রিকেটারদের যেন মাটিতেই পা পড়ে না।
টেস্ট স্ট্যাটাসের দুই যুগ কিংবা কিংবা ১৮ বছরের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার। কোনো লক্ষ্য কি ঠিক করতে পেরেছে বাংলাদেশ? বরং যারাই যখন বিসিবির দায়িত্ব নিয়েছে, খুঁজেছে সফলতার শর্টকাট পথ। তাইতো ভারত-পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার কথা না হয় বাদই দেয়া গেল, বাংলাদেশ পরে শুরু করেও অন্তত সংক্ষিপ্ত সংস্করণে আফগানিস্তান,স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড মুগ্ধতা ছড়ায় বিশ্ব ক্রিকেটে।
তামিম ইকবাল বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে পরবর্তী দুই-তিন বছর পর কোন জায়গায় দেখতে চায়? ক্রিকেট বোর্ডের যদি কোনো ভিশন না থাকে, শুধু ক্রিকেটার আর কোচের ভিশন নিয়ে কখনো সফল হওয়া যাবে না। ভিশন না থাকলে ভারতও কখনো এত অর্জন পেত না। সুতরাং বিসিবির কী ভিশন, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওনাদের ভিশন আমরা এ সিরিজ জিতলে খুশি। খেলোয়াড়রা দুটা ম্যাচ জিতলে খুশি। তাহলে তো হলো না। ওপর থেকে নিচে; একটা স্পষ্ট বার্তা থাকতে হবে।’
মাঝে মধ্যে পরিকল্পনা যে হয় না, তাও নয়। কিন্তু কিছুদিন বাদেই সেখানেও দেখা যায় গলদ। এই যেমন জাতীয় দলের বাদ পড়া ক্রিকেটারদের নিয়ে করা হয়েছিল বাংলা টাইগার্স প্রোগ্রাম। কিন্তু বছর দুয়েক না পেরুতেও সেখানেও অসংগতি দেখছেন তামিম।
সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘টাইগার্স আর এইচপির মধ্যে তো আমি কোনো পার্থক্য দেখি না। আলাদাভাবে কী করা হচ্ছে? শুধু স্পিনারদের জন্য কিছু করা হচ্ছে? কিংবা ২০ দিনের ক্যাম্প করব, এখানে মোটিভই হলো পাওয়ার হিটিং, আর কোনো খেলাই নাই। যদি আমরা জাতীয় দলের ওপেনার নিয়ে (টেস্টে) সংগ্রাম করে থাকি, তাহলে চার দিনের ক্রিকেটে যে ৪-৫ জন যাবে, তাদের কাজই হবে নতুন বলে খেলা। যতদিন ক্যাম্প থাকবে। আলাদাভাবে এটা আমাদের পরিকল্পনা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কোচ ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারছেন না।’
তামিমের কাঠগড়ায় আছে ক্রিকেটারদের উদাসীনতাও। এই যেমন ভারত সিরিজের আগে অধিনায়ক শান্ত কিংবা হৃদয় নতুন ব্র্যান্ডের ক্রিকেটের কথা বললেও এরপরের দুই ম্যাচের ফলাফল সামনে এনেছে সামর্থ্যের। তাইতো টাইগার সাবেক অধিনায়কের মতে সব পক্ষের মানসিকতায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনাটা জরুরি।