স্পোর্টস ডেস্ক : ভারত সফরে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর রঙিন পোশাকেও সফলতার দেখা পায়নি বাংলাদেশ। সূর্যকুমার যাদবদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুইটি হেরে ইতোমধ্যেই সিরিজ খুইয়েছে টাইগাররা।
তবুও হায়দরাবাদে শেষ টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে বিশেষ এক ম্যাচ। কেননা এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানাবেন সাইলেন্ট কিলার খেতো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
অপরদিকে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে। এমন ম্যাচে বল করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি তুলে স্যামসনের শতকে টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড সংগ্রহের ইতিহাস ভারতের।
হায়দরাবাদে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ২৯৭ রান সংগ্রহ করেছে ভারত। যা নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এছাড়া টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ পুঁজির রেকর্ড। অপরদিকে সবমিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন দুই ভারতীয় ওপেনার অভিষেক শর্মা ও স্যামসন। প্রথম দুই ওভারে ২৩ রান দিয়ে বাজে শুরু হয় বাংলাদেশের। পরের ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেট এনে দেন তানজিম সাকিব। মিডউইকেটে ক্যাচ ধরেন শেখ মেহেদী।
উইকেট হারালেও রানের গতি থামায়নি ভারত। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই তারা স্কোবোর্ডে তুলে ৮২ রান, স্যামসন-সূর্যকুমারের জুটি হয় ৫৯ রানের। টি-টোয়েন্টির পাওপারপ্লেতে ভারতের এটা যৌথভাবে সর্বোচ্চ রান। ২০২১ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেট ৮২ রান করেছিল তারা।
এদিকে রান সংগ্রহের রোহিতের রেকর্ড ভাঙে স্যামসন। ২০১৯ সালে রাজকোটে ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন রোহিত শর্মা। সেটা ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের কোনো ব্যাটারের দ্রুততম ফিফটি। রোহিতের রেকর্ড দখলে নিয়েছেন স্যামসন। ২২ বলে অর্ধশত রান করেছেন তিনি।
রিশাদের এক ওভারে ৫ ছক্কায় একাই ৩০ রান তুলেন স্যামসন। অর্ধশতক করে টাইগার বোলারদের ওপর চড়াও হন স্যামসন ও সূর্য। চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ছোটাতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। মারমুখী ব্যাটংয়ে ফিফটি তুলে নেন সূর্যকুমারও। এরপর ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান এই দুই ব্যাটার। ৪০ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন স্যামসন।