স্পোর্টস ডেস্ক : ফুটবলের অন্যতম আকর্ষণীয় পুরস্কার ব্যালন ডি’অর কে জিতবেন, এমন উদ্দীপনা আগে থেকেই রয়েছে ভক্ত-সমর্থকদের মাঝে। প্রতিযোগী ফুটবলার এবং তাদের সতীর্থের মাঝেও সেই রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যায়।
আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি ব্যালন জিতেছেন ৮ বার। দীর্ঘ সময় পর এবার প্রথমবারের মতো সেই তালিকায় না থাকা এলএমটেন নিজের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিয়েছেন।
একদিন আগেই আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লিওনেল স্কালোনি তার মতে আসন্ন ব্যালন ডি’অরের জন্য যোগ্য ব্যক্তির নাম জানিয়েছেন। তার মতে, এবারের ব্যালন ডি’অরের সবচেয়ে বড় দাবিদার ইন্টার মিলানের আলবিসেলেস্তে তারকা লাউতারো মার্টিনেজ। জাতীয় দলের গুরুর মতো মেসিও হেঁটেছেন একই পথে। তিনিও জুনিয়র সতীর্থ মার্টিনেজ এবার ব্যালনের যোগ্য বলে মনে করছেন।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে আজ (বুধবার) আর্জেন্টিনা ও বলিভিয়া মুখোমুখি হয়েছিল। যেখানে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ৬-০ গোলে বড় জয়ের পথে হ্যাটট্রিক করেছেন ৩৭ বছর বয়সী মেসি। লাউতারোও করেছেন এক গোল।
সবমিলিয়ে পুরো বছরই দারুণ কেটেছে এই ফরোয়ার্ডের। জাতীয় দলের হয়ে কোপা আমেরিকা এবং ইন্টার মিলানকে ইতালিয়ান লিগ ‘সিরি আ’য় চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছেন। কোপায় সর্বোচ্চ ৫ গোল করে গোল্ডেন বুটও জেতেন ২৭ বছর বয়সী লাউতারো।
এসব সাফল্য বিবেচনায় নিজের সতীর্থের হাতেই ব্যালন দেখতে চান মেসি। এ প্রসঙ্গে আজেন্টাইন অধিনায়ক জানিয়েছেন, ‘সে দুর্দান্ত একটি বছর কাটিয়েছে, সে ফাইনালে গোল করেছে, কোপা আমেরিকায়ও হয়েছে টপ স্কোরার। যে কারও চেয়ে তারই ব্যালন ডি’অর বেশি প্রাপ্য।’
এর আগে স্কালোনিও ব্যালন পাওয়ার ব্যাপারে লাউতারোকে এগিয়ে রেখে বলেছেন, ‘অন্য সবার চেয়ে সেইই সবচেয়ে বড় দাবিদার। আমি আশা করি সে এটা (ব্যালন ডি’অর) পাবে। এমন একজন ছেলে যাকে আমি খুবই পছন্দ করি। শুরু থেকেই লাউতারো আমাদের সাথে আছে। আশা করি সে জিতবে এটা। নিশ্চিতভাবে এখন না পেলেও, ভবিষ্যতে এটা সে পাবে। তার সামনে এখনো দারুণ ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে।’
আগামী ২৮ অক্টোবর প্যারিসে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দেওয়া হবে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার। যার জন্য শর্টলিস্টে লাউতারো থাকলেও, বেশ আলোচিত হচ্ছে আরও কয়েকজনের নাম। সেখানে আছেন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি। এ ছাড়া পিএসজি থেকে রিয়ালে যোগ দেওয়া কিলিয়ান এমবাপে এবং ম্যানসিটির নরওয়েজিয়ান তারকা আর্লিং হালান্ডের নামও সেক্ষেত্রে আলোচিত হচ্ছে।