স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতীয় ক্রিকেট দলের পেস বোলার মহম্মদ সামির লাভ লাইফ আজও ক্রিকেট সমর্থকদের আলোচনার মুখ্য বিষয়। ২০১৪ সালে সামি এবং হাসিন জাহান বিয়ে করেছিলেন।
কিন্তু, ৪ বছরের মধ্যেই সেই বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙে যায়। কিন্তু, আপনারা অনেকেই হয়ত জানেন না যে বিয়ের আগে হাসিন জাহান কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের চিয়ারলিডার হিসেবে কাজ করতেন।
সম্প্রতি একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালীন মহম্মদ সামির স্ত্রী হাসিন জাহান আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছিলেন।
আর সেকারণেই ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে তাঁকে নিয়ে কৌতূহল ইতিমধ্যেই যথেষ্ট বেড়ে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, হাসিন জাহান প্রথমে আইপিএল টুর্নামেন্টে চিয়ারলিডার হিসেবে কাজ করতেন।
শোনা যায়, এই টুর্নামেন্ট থেকে তিনি মোটা অঙ্কের টাকা উপার্জন করেছেন। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, এই কাজের জন্য তাঁকে কত টাকা করে স্যালারি দেওয়া হত?
সাধারণত আইপিএল টুর্নামেন্টের বিভিন্ন ম্যাচে চিয়ারলিডারদের আলাদা আলাদা স্যালারি দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, আইপিএল টুর্নামেন্টে ম্যাচ প্রতি চিয়ার লিডাররা ১৪ থেকে ১৭ হাজার টাকা করে স্যালারি পেয়ে থাকেন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া খবর অনুসারে, এই স্যালারির পাশাপাশি চিয়ার লিডারদের প্রতি ম্যাচে ৬,০০০ টাকা করে ইনসেনটিভ দেওয়া হয়।
আর যে দল জয়লাভ করে, সেই দলের চিয়ার লিডারদের ৩,০০০ টাকা করে বোনাস দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন পার্টি-অনুষ্ঠানে আলাদা করে পারফরম্যান্স করার জন্য ৫,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত চিয়ার লিডারদের দেওয়া হয়ে থাকে। পাশাপাশি ফটোশ্যুটের জন্য তাঁদের আলাদা করে আবার ৫,০০০ টাকা দেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি যে হাসিন জাহান দু’বার বিয়ে করেছেন। মহম্মদ সামি তাঁর দ্বিতীয় স্বামী। ইতিপূর্বে তিনি এক মুদিখানা দোকানদারকে বিয়ে করেছিলেন।
তাঁর প্রথম স্বামীর নাম সইফুদ্দিন। তাঁর দোকানের নাম বাবু স্টোর্স। একটা সময় হাসিন জাহান এই মুদিখানা দোকানেরই মালকিন ছিলেন।
তবে ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলো এবং মডেলিংয়ের প্রতি একটা অমোঘ আকর্ষণ ছিল হাসিন জাহানের। তিনি কলকাতায় আসার পর মডেলিংয়ে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন।
শোনা যায়, একটি আইপিএল ম্যাচ চলাকালীন হাসিন জাহানের প্রেমে পড়েছিলেন মহম্মদ সামি। তারপর তাঁদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। এরপর ২০১৪ সালে তাঁরা একে অপরকে বিয়ে করে ফেলেন।
তাঁদের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। কিন্তু, এই বৈবাহিক সম্পর্ক একেবারেই সুখের হয়নি। ২০১৮ সালে হাসিন মহম্মদ সামির বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে আসেন।
সেই তালিকায় ছিল গার্হ্যস্থ হিংসা, ম্যাচ গড়াপেটা এবং পরকীয়ার মতো মারাত্মক অভিযোগ। এরপর থেকেই তাঁরা একে অপরের থেকে দুরত্ব বজায় রাখেন এবং আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।