স্পোর্টস ডেস্ক : অনন্য একটি দিন হাজির হয় ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য। উপচে পড়া ভিড় ছিল স্টেডিয়ামে। দেখার মত তাণ্ডব সৃষ্টি করেন শহীদ আফ্রিদি। বল পিটিয়ে কাঁপান গোটা স্টেডিয়াম।
ধুবাইয়ে পাকিস্তানের সুপার লিগের দলের প্রয়োজনে জ্বলে ওঠেন তিনি। আতঙ্ক শুরু হয়ে যায় প্রতিপক্ষ শিবিরে। ক্রিকেটের এই রান মেশিন একক নৈপুণ্য দেখিয়ে দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন ফাইনালের দিকে।
১৬ টি বল খেলে আফ্রিদির রান গিয়ে দাঁড়ায় ৩৮। ৪টি ছয় ও দুটি চারের মার ছিল এখানে। কিন্তু এর পরের বলে ক্যাচ আউট হওয়ায় নিজেই কাঁদলেন আফ্রিদি।
এদিন কামরান আকমল ছাড়া অন্য কোনো ব্যাটসম্যান দুই অংঙ্কের রান করতে পারেনি। ফলে সব স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয় পেশোয়ার জালমির।
শিরোপা জয়ের জন্য টপ ফেবারিট ছিল জালমি। কিন্তু এখন স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে জালমির। হারের পরে সঙ্গত কারণেই ব্যাটসম্যানদের দূষেছেন আফ্রিদি।
আফ্রিদির মূল হাতিয়ার ডেবিড মিলান ৭, হাফিজ ৮, ব্রাড হজ ৫ ও ড্যারেন সামি ৯ রান করে বিদায় নেন। রিয়াজ ১, হাসান ১, জাইদি শূণ্য ও ইউসুফ ৪ রান করে আউট হন।
দলের পক্ষে কামরান আকমল করেন ৪৫ রান। আফ্রিদি ও আকমলের জ্বলে ওঠার দিনে অন্যদের ব্যর্থতায় শোকবহ পরিবেশ নেমে আসে ধুবাইয়ের ওই স্টেডিয়ামে।
টপ ফেবারিটদের আসর থেকে বিদায়ে স্টেডিয়ামেই কাঁদতে দেখা যায় অসংখ্য ভক্তদের। আফ্রিদির পরিবারের সদস্যরাও আশ্রুসিক্ত হন গ্যালারিতে।
এখন, ফাইনালে খেলবে কোয়েটা গ্লাডিয়েটরস ও ইসলামাবাদ উইনাইটেট। ২৩ ফেব্রুয়ারি হবে এই ম্যাচ।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর