স্পোর্টস ডেস্ক : শচিন টেন্ডুলকার। সাংসদ হয়ে বাঁচিয়ে দিয়েছেন অরুণ জেটলিকে। অন্তত বাজেটের পরের দিন ফোকাস কেড়ে নিতে পারবেন না। যেমনটা হয়েছিল মমতা ব্যানার্জী কিংবা প্রণব মুখার্জীর ক্ষেত্রে।
একবার ভারতের রেল বাজেট ও একবার সাধারণ বাজেট। খবরের শিরোনাম ভাগ বসিয়ে দিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার শচিন টেন্ডুলকার। প্রথম শিকার মমতা ব্যানার্জী।
২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি রেল বাজেট পেশ করেন। তার বাজেট মানেই দেশ-জুড়ে খবর। পরের দিনে বাংলার সংবাদপত্রের সেরা শিরোনামটি তো তার দখলেই থাকার কথা। কিন্তু আর হল কই!
২৪ তারিখেই গ্বালিয়রে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শচিন টেন্ডুলকার ২০০ রান হাঁকালেন। স্কোর বোর্ড বলল, ভারত ৩ উইকেটে ৪০১ রান। শচিন ১৪৭ বল খেলে ২০০ নট আউট। পরের দিন খবরের কাগজের মূল শিরোনামে আধাআধি ভাগ হয়ে গেলেন মমতা ও শচিন। কোথাও আবার উপরে শচিন। দ্বিতীয় মমতা-বাজেট।
দ্বিতীয় বার ১৬ মার্চ ২০১২। দ্বিতীয় মনমোহন সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে বাজেট পেশ করলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। সেই দিনই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিরপুরের মাঠে নেমে নিজের শততম সেঞ্চুরিটি করলেন শচিন।
পরের দিনের খবরের কাগজে সাধারণ বাজেটের খবরকে একেবারে নিচে নামিয়ে দিতে না পারলেও আধাআধি জায়গা করে নিলেন ক্রিকেটের বিস্ময়। পুরোপুরি প্রাপ্য ফোকাস পেল না বাজেট-সংবাদ।
এখন শচিন ক্রিকেট ছেড়েছেন। রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন। তাই রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির ফোকাস খোয়ানোর ভয়টা নেই।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস