স্পোর্টস ডেস্ক : চল্লিশতম জন্মদিনের ঠিক আগে একটা সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সেই সাক্ষাৎকার নিয়ে আলোচনা থামেনি এখনও। অনেকেই তার বক্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষে নিজেদের মত দিচ্ছেন। কী বলেছিলেন রোনালদো যা নিয়ে এতো আলোচনা? রোনালদো সেই সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, পেলে-ম্যারাডোনা বা মেসি নন, তিনিই সর্বকালের সেরা। পর্তুগিজ মহাতারকার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এবার নিজের মতামত দিয়েছেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে মেসির সতীর্থ জিওভান্নি লো সেলসো।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৪০ বছর পূর্ণ করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এই বয়সেও গোলের পর গোল করে চলেছেন এই পর্তুগিজ মহাতারকা। দিন কয়েক আগেই ক্যারিয়ারের ৯২৪তম গোলটি করেছেন আল নাসরে খেলা রোনালদো। যে বেগে ছুটছেন তাতে ১ হাজার গোল পূর্ণ করতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না তাকে।
রোনালদো যে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার, সে ব্যাপারে কেউই দ্বিমত করবেন না। কিন্তু সর্বকালের সেরা ফুটবলার?–রোনালদোর নামটা সেভাবে আলোচনায় আসে না। সর্বকালের সেরা হিসেবে পেলে-ম্যারাডোনার সঙ্গে আলোচনায় আসে রোনালদোর ‘নেমেসিস’ লিওনেল মেসির নাম। কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জেতানোর পর মেসি রোনালদোকে ছাড়িয়ে আরও অনেক ওপরে চলে গেছে বলেই মনে করেন বেশিরভাগ ফুটবলবোদ্ধা।
তবে রোনালদোর থোড়াই কেয়ার। লা সেক্সটাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজেকে সর্বকালের সেরা দাবি করে রোনালদো বলেছিলেন, ‘আপনি মেসি, পেলে কিংবা দিয়েগোকে (ম্যারাডোনা) এগিয়ে রাখতেই পারেন, আমি এটা শুনতে রাজি এবং এই মতামতকে সম্মানও জানাই, কিন্তু ক্রিস্টিয়ানো (রোনালদো) পরিপূর্ণ ফুটবলার নয়–এটা মিথ্যা। আমি সবচেয়ে পরিপূর্ণ। আমি আমার চেয়ে সেরা কাউকে দেখি না এবং আমি এটা আপনাকে আমার হৃদয় থেকে বলতে পারি।’
রোনালদোর এমন দাবির ব্যাপারে এক সাক্ষাৎকারে জানতে চাওয়া হয়েছিল আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে মেসির সতীর্থ জিওভান্নি লো সেলসোর কাছে। ইনফোবেকে দেয়া সেই সাক্ষাৎকারে রিয়াল বেতিসের এই মিডফিল্ডার বলেন, ‘না, আমি এটা (রোনালদোর সাক্ষাৎকার) দেখিনি। উত্তর পরিষ্কার, এটা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় লিও (মেসি)।’
এদুর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নিজেকে সর্বকালের সেরা দাবি করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছবি: ভিডিও থেকে
ইনফোবেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মেসির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের বিবরণও দিয়েছেন লো সেলসো, ‘আমার মনে আছে তার সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার মুহূর্তটা, আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম না, এটা তখনকার যখন আমি রাশিয়ায় প্রথমবারের জন্য জাতীয় দলে ডাক পেলাম; বেশ কিছু প্রীতিম্যাচের জন্য এবং তাকে দেখার-তার সঙ্গে ভ্রমণ করাটা ভীষণ উষ্ণতার ছিল। দীর্ঘদিন তাকে টিভিতে দেখার এবং প্রথমবার সামনাসামনি তাকে দেখাটা এখন পর্যন্ত আপনার ওপর প্রভাব রাখবে। তবে প্রথমবার একটু বেশিই।’
‘প্রথমবার আপনি নার্ভাস হবেন। মানে, ভেতরে একটা উষ্ণতা অনুভব করবেন। এবং শুধু তিনি নন, তখনকার জাতীয় দলের সব খেলোয়াড়দের দেখেই। মূলত এক ধরনের শকের মধ্যে থাকার বিষয়, বিশ্বাস করতে না পারার ব্যাপার যে, আপনি কোথায় আছেন, কোথায় পৌঁছেছেন।’ লো সেলসো যোগ করেন।