স্পোর্টস ডেস্ক : গত বছরের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ খেলতে গিয়েছিলো ভারত। প্রথম ম্যাচ জিতলেও পরে তিনটি ম্যাচ তারা হেরে যায়, মাঝে একটি ম্যাচ অবশ্য ড্র হয়েছিলো।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি, বাকি ম্যাচগুলোতে ছিলেন ছন্নছাড়া। কিন্তু বিরাট কোহলি মনে করেন, আর হয়তো তার অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়া হবে না। শনিবার (১৫ মার্চ) এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এ কথা বলেছেন ভারতীয় এই ব্যাটার।
বিরাট কোহলি বলেছেন, ‘হয়তো আর কোনও অস্ট্রেলিয়া সফরে যেতে পারবো না। তাই অতীতে যা অর্জন করেছি তাতেই আমার শান্তি। অতীতে যা হয়েছে তা কখনও বদলাতে পারবো না। যেমন ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফর। ২০১৮ সালে আবার সে দেশে গিয়ে যা করার সেটা করেছিলাম।’
সবশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে এক সেঞ্চুরি ছাড়া বলার মতো আর কোনও ইনিংস খেলতে পারেননি বিরাট কোহলি। তবে অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না এই ব্যাটার। তার মতে, মানসিকভাবে তিনি এমন এক জায়গায় চলে এসেছেন যে ব্যর্থতা তাকে আর ভাবায় না।
‘যদি হতাশার ব্যাপারে বেশি ভাবতে শুরু করেন, তাহলে নিজের উপরেই বোঝা বাড়বে। অস্ট্রেলিয়া গিয়েও সেটা বুঝেছি। প্রথম টেস্টে ভালো রান করেছিলাম। ভেবেছিলাম এভাবেই বাকি ম্যাচগুলো খেলা যাবে। তবে ব্যাপারটা ওভাবে এগোয়নি। কীভাবে এর মোকাবিলা করবেন? আমার মতে মেনে নেয়া ছাড়া গতি নেই।’
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর সেই ফরম্যাট থেকে অবসর নেন বিরাট কোহলি। কিন্তু সেই অবসর ভেঙে আবারও খেলতে পারেন তিনি। তবে তার জন্য একটি শর্তও দিয়েছেন ভারতীয় এই ব্যাটার।
কোহলি জানিয়েছেন, ভারত যদি ২০২৮ অলিম্পিক্সে ফাইনালে উঠতে পারে, তা সেই একটি ম্যাচের জন্য অবসর ভেঙে ফিরতে পারেন তিনি। ‘যদি ভারত ২০২৮ অলিম্পিক্সের ফাইনালে উঠতে পারে, তাহলে হয়তো আমি একটা ম্যাচের জন্য অবসর ভেঙে ফিরতে পারি। অলিম্পিক্সের পদক গলায় দিলে দারুণ একটা ব্যাপার হবে।’
দীর্ঘ ১২৮ বছর পর অলিম্পিক্সে ফিরছে ক্রিকেট। কোহলি বলেছেন, ‘অলিম্পিক্সের অংশ হওয়া ক্রিকেটের এবং ভারতের পক্ষে খুব ভালো ব্যাপার। পদক নিয়ে ফিরতে পারলে খুব ভালো হবে। আইপিএলের অনেক ভূমিকা রয়েছে এতে। এখন আমরা অলিম্পিক্সেও খেলতে পারবো। কিছু উঠতি ক্রিকেটারের কাছে এটা দারুণ ব্যাপার।’
ক্রিকেটে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট থেকে অবসর নিলেও টেস্ট এবং ওয়ানডে ক্রিকেট খেলছেন কোহলি। তবে এই দুই ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি কী করবেন, তা তিনি এখনও ভাবেননি। ‘আমি সত্যিই জানি না অবসরের পর কী করবো। সম্প্রতি আমার এক সতীর্থ একই প্রশ্ন করেছিলো, আমিও এই উত্তরটাই দিয়েছিলাম। হয়তো সেই সময়ে খুব ঘুরবো।’
‘প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলার খিদে থাকলে অবসর নিয়ে ভাবার সময় পাওয়া যায় না। রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে এটা নিয়ে এক বার বেশ ভালো কথাবার্তা হয়েছিলো। ও আমাকে বলেছিলো, সব সময় নিজের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে। জীবনের কোন পর্যায়ে রয়েছি, সেটা নিয়ে বেশি করে ভাবতে। কারণ অবসর কবে নেবো, এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সহজ কাজ নয়’