স্পোর্টস ডেস্ক : ১৮ ওভার শেষে ৪ উইকেটে শ্রীলঙ্কার স্কোর ১৫৩। তখন বাংলাদেশ লক্ষ্যটা কত আশা করেছিল? আগের ওভারে দাসুন শানাকার তাণ্ডবে উঠেছিল ১৮ রান, শানাকা শেষ পর্যন্ত টিকেও ছিলেন। ফলে শেষ ২ ওভারে অন্তত ৩৫ রান আশা করা অস্বাভিক কিছু নয়। কিন্তু বাংলাদেশের যে একজন মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন!
ডেথ বোলার হিসেবে মোস্তাফিজের বেশ সুনাম আছে। বাংলাদেশের তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটেই ফিজ ডেথ বোলারদের মধ্যে অন্যতম সেরা। দুবাইয়ে গতকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট তিনি। এরমধ্যে নিজের চতুর্থ ও দলের ১৯তম ওভারে নিয়েছিলেন ২ উইকেট, বিনিময়ে দিয়েছিলেন মাত্র ৫ রান। এই ওভারগুলোতে ব্যাটাররা সাধারণত মেরে খেলে থাকেন।
ফিজের তুলনায় তাসকিন আহমেদ গতকাল খানিকটা খরুচে ছিলেন। ১ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে রান দিয়েছেন ৩৭। ডানহাতি এই পেসার ডেথ ওভারে খুব একটা হাত ঘোরান না, কিন্তু গতকাল লিটন শেষ ওভারের জন্য হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন। তাসকিন খুব একটা খারাপ করেননি। শানাকার কাছে একটা চার ও একটা ছক্কা হজম করলেও ১০ রানের বেশি দেননি। শ্রীলঙ্কার ইনিংস থামে ১৬৮ রানে।
শ্রীলঙ্কা কত রান আশা করছিল? ১৯০ এর বেশি তো হবেই, লিটন দাসই যে বোর্ডে ১৯০ রান দেখতে পাচ্ছিলেন। ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো দুটি ওভার করায় ফিজ ও তাসকিনের প্রতি প্রশংসার কমতি রাখলেন না দলপতি। ‘আমরা সবাই জানি মোস্তাফিজ কতটা ভয়ঙ্কর। ব্যাট করার জন্য ভালো উইকেট বলেই মনে হচ্ছিল। মোস্তাফিজের ১৯তম ও তাসকিনের ২০তম ওভার ম্যাচ বদলে দেয়। (স্কোর) ১৯০ এর মতো মনে হচ্ছিল, কিন্তু বোলাররা সেটা হতে দেয়নি। তাসকিন শেষের ওভারটি ভালো করেছে।’
১৬৯ রানের লক্ষ্য পাওয়া বাংলাদেশ প্রথম ওভারেই হারিয়ে ফেলেছিল তানজিদ হোসেন তামিমের উইকেট। সাইফ হাসান সব চাপ ঠেলে দেন শ্রীলঙ্কানদের ওপর। তৃতীয় ওভার থেকেই নুয়ান থুশারাকে টার্গেট করেন তিনি। সাইফ এরপর আর থামেননি, ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি করা ওপেনার আউট হন ৪৫ বলে ৬১ রান করে।
সাইফ ৪ উইকেটে জেতা ম্যাচে ম্যাচসেরাও হয়েছেন। অন্যদিকে আগের ম্যাচে ১৮ রানে ৪ উইকেট নেওয়া থুশারার স্পেল শেষ করেন ১ উইকেটে ৪২ রান দিয়ে। সাইফের জন্যও লিটনের মুখে প্রশংসা। ‘আমি জানি সাইফ বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতাতে পারে। আরব আমিরাতে সে যে ভালো করবে, সেটা আমরা জানতাম। তার বৈশিষ্ট্য, কীভাবে রান করে; এগুলো জানি।‘