তামিমদের নির্বাচন বয়কট নিয়ে যা বললেন বুলবুল
স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন আগামীকাল (সোমবার)। যা নিয়ে গত মাসখানেক সময় ধরে অনেক জলঘোলা হয়েছে। বিসিবির এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে ঢাকার বেশিরভাগ ক্লাবের কাউন্সিলররা। এর মধ্যে আছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালও। অথচ তার বিসিবি সভাপতি পদেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা ছিল।
জেলা কিংবা বিভাগীয় অনেক কাউন্সিলরও বিসিবির নির্বাচন থেকে নাম প্রত্যাহার করেছেন। হাসিবুল আলম, আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান, মীর হেলালরা সরে দাঁড়িয়েছেন। নির্বাচনের ঠিক আগেরদিন আজ (রোববার) বিসিবিতে হাজির হয়েছিলেন বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এ সময় তিনি নির্বাচন বয়কট করা তাদের একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘যারা এখানে আসছে না বা বয়কট করেছে, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করতে যাচ্ছি। এর বাইরে কোনো কথা বলব না।’ বিসিবি নির্বাচনে বুলবুলকে ক্রীড়া উপদেষ্টা বাড়তি সহযোগিতা করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে বুলবুল বলেন, ‘আমার ঠিক মনে নেই, কবে আমি বলেছি ক্রীড়া উপদেষ্টা আমাকে অনুরোধ করেছেন বা ক্রীড়া উপদেষ্টা সহযোগিতা করেছেন, যে সময়সীমার মধ্যে আমি কাজ করছিলাম।’
বিসিবিতে প্রায় চার মাসের মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করা বুলবুল বলছেন, ‘তাকে (ক্রীড়া উপদেষ্টা) আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আরেকটা কারণে। তিনি একজন মন্ত্রী পদমর্যাদার মানুষ। আমি জানি তিনি রাজশাহীতে গিয়েছেন। শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন না, চেষ্টা করেছেন যেন ভালো বোর্ড তৈরি করতে পারি। এখানে আমার কাছে প্রভাব খাটানোর কিছুই মনে হয়নি।’
বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্বার্থেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানালেন বুলবুল, ‘আমার মনে হয়েছে যে, বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্বার্থে আমাকে চালিয়ে যেতে হবে। যারা আমাকে ভোট দিচ্ছেন বা দেবেন না, কিংবা আপনারা যারা আছেন, যদি মনে করেন যে আমি যথেষ্ট যোগ্য নই, তবে আমি যেকোনো সময় সরে যেতে প্রস্তুত। তবে একই সঙ্গে আমার একটাই লক্ষ্য– বাংলাদেশ ক্রিকেট (এর উন্নতি)।’
