স্পোর্টস ডেস্ক : চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অলিম্পিয়াকসের মাঠে ৪-৩ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের হয়ে একাই চারটি গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এই জয়ে টেবিলের পাঁচে উঠে এলো স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
জর্জিওস কারাইস্কাকিস স্টেডিয়ামে এর আগে কখনও জয় পায়নি রিয়াল। এবার সেই আক্ষেপও ঘোচাল লস ব্লাঙ্কোসরা। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই দারুণ আক্রমণ শাণায় রিয়াল। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শট নেন ভিনিসিউস জুনিয়র, একহাত দিয়ে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে পাঠান গোলরক্ষক।
তবে এর পাঁচ মিনিট পর লক্ষ্যে প্রথম শট নিয়েই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সের বাইরে নিজেদের মধ্যে দারুণভাবে বল দেয়া-নেয়া করে জোরাল শটে পোস্ট ঘেঁষে গোলটি করেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার চিকিনিয়ো।
২২তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে উঠে সমতা টানেন এমবাপ্পে। ভিনিসিউসের থ্রু পাস ধরে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নিচু শটে বল জালে পাঠান ফরাসি ফরোয়ার্ড। এরপর, পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে আরও দুবার জালে বল জড়িয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এমবাপ্পে।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। প্রথমটি করেছিলেন কয়রাত আলমাতির বিপক্ষে। হ্যাটট্রিক করতে এমবাপের সময় লাগে ৬ মিনিট ৪২ সেকেন্ড, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে যা দ্বিতীয় দ্রুততম। ২০২২ সালে রেঞ্জার্সের বিপক্ষে মাত্র ৬ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে হ্যাটট্রিক করে রেকর্ডটি নিজের করে রেখেছেন মোহাম্মদ সালাহ।
প্রথম হাফে আর গোল হয়নি। ৫২তম মিনিটে এক গোল শোধ দেয় অলিম্পিয়াকস। তবে ৫৯তম মিনিটে চতুর্থ গোলটি করেন এমবাপ্পে এবং জয়ের পথে এগিয়ে যায় রিয়াল। এই গোলে সহায়ক ছিলেন ভিনিসিউস। পাঁচ ম্যাচে ৯ গোল করে এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা এমবাপ্পে।
তবে শেষ দিকে রিয়ালকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল অলিম্পিয়াকস। ৮১তম মিনিটে বাঁ-দিক থেকে সতীর্থের ক্রসে হেডে স্কোরলাইন ৪-৩ করেন মরক্কোর ফরোয়ার্ড এল কাবি। এরপর রক্ষণে বাড়তি মনোযোগ দেয় রিয়াল। অলিম্পিয়াকোসও চাপ বাড়ালেও আর কোনো সাফল্য পায়নি দলটি।