বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬, ০৯:৪৩:২০

মা-ই ক্রিকেটার শাওন গাজীর বড় অনুপ্রেরণা

মা-ই ক্রিকেটার শাওন গাজীর বড় অনুপ্রেরণা

স্পোর্টস ডেস্ক:  অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায় মেহেদী হাসান মিরাজকে প্রশ্ন করা হয় সতীর্থদের মধ্যে সবচেয়ে দুষ্ট ছেলেটি কে। তাহলে সে নিসন্দেহে বলে দেবেন সালেহ আহমেদ শাওন গাজীর নাম। দলের এমন কেউ নেই যে তার দুষ্টুমির শিকার হননি। গাজী সারাক্ষনই নানা রকম দুষ্টুমিতে মাতিয়ে রাখেন সতীর্থদের। কিন্তু মাঠে ভিন্ন এক চরিত্র।

শাওনকে সদা হাসি মুখের মনে হলেও জীবন যুদ্ধের কঠিন সময় পার করতে হয়েছে তাকে। যেখানে মুশফিকুর রহীমের বাবা এখনো মাঠে আসে ছেলের সুখ-দুঃখে পাশে থাকেন। সেখানে শাওন গ্যালারির দিকে বাবার জন্য হয়তো তাকিয়ে থাকেন শূন্য চোখে। ক্রিকেটের গল্প বলতে বলতে বাবা প্রসঙ্গ আসতেই ঠোঁটের কোণে হাসি মিলিয়ে যায়। সেখানে ভিড় করে রাজ্যের দুঃখ আর হতাশাও। দেশের ক্রিকেটের তরুণ ভবিষ্যৎ শাওনের ক্রিকেট ও জীবন যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছে দেশের জনপ্রিয় একটি ট্যাবলয়েডের সঙ্গে।

ক্রিকেটে দ্রুত উন্নতি করছে শাওন। তার এই সাফল্যের পেছনের রহস্য কি?  এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার মা, নানা ভাই, আর বড় বোন। বাবার কথা বলতে পারবো না, তিনি হয়তো খুশি হন। হয়তো হন না। আমি তাকে নিয়ে কথা বলতে চাই না। আমার তিন মাস বয়স থেকে আমি নানা বাড়ি মামাদের কাছে বড় হয়েছি। বাবার সঙ্গে কথা হতো কিন্তু এত ভালো করে না। হয়তো ক্রিকেটে ভালো করছি বলে গর্বও করতে পারেন। কিন্তু তার কারণে আমার জীবনে অনেক যুদ্ধ করতে হয়েছে। আমার মা-ই আমার ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।’

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলার জন্য ডাক পেয়েছেন তিনি। লীগ খেলে অনেক টাকা পাওয়া যাবে। সে টা কি করবেন গাজী। চলুন শুনে নিই তার মুখ থেকেই।  বলেন, ‘আমি আমার সংসারের কাজে লাগাবো। মাকে  দেবো। আমি কিন্তু এখন থেকে নয়, অনেক আগে থেকেই মামাকে সাহায্য করার চেষ্টা করি। আগে ভাড়ায় খেলে যা টাকা পেতাম তা খুশি হয়েই মায়ের কাছে দিতাম। এখনও যদি কিছু কিনি আগে মা ও বোনের জন্য, এর পর আমার জন্য।’
২১ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে