স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এরই মধ্যে দশ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন। ২০০৬ সালে অভিষিক্ত এই ক্রিকেটার নিজের অর্জন কয়টা মনে রেখেছেন সেই প্রশ্ন করেছিল ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর মাসিক সংস্করণ ‘ক্রিকেট মান্থলি’।
সাকিবকে প্রশ্ন করা ১০ টি প্রশ্নের সাতটির সঠিক উত্তর দিতে পেরেছেন সাকিব। সাকিবকে জিজ্ঞাসা করা প্রথম প্রশ্নটি ছিল টেস্টে তিনি প্রথম কাকে বল করেছিলেন। ভারতের বিপক্ষে অভিষেকের কথা মনে থাকলেও সাকিবের মনে ছিল না যে প্রথম বলটি করেছিলেন তিনি শচীন টেন্ডুলকারকে।
২০১৪ সালে বাংলাদেশের চোখের জল, নাকের জল এক করে চট্টগ্রামে নিজের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা। সেই যন্ত্রণাটা সাকিব যে ভুলেননি সেটা তার করা দ্বিতীয় প্রশ্নে সঠিক উত্তর দেয়া থেকেই বোঝা যায়। সাকিব বলেন হয়তো. চার পাঁচটা! উল্লেখ্য, সাঙ্গাকারা তার বলে পাঁচটি ছক্কা মেরেছিলেন।
তৃতীয় প্রশ্ন ছিল তার বিরুদ্ধে কে একমাত্র হিট উইকেটে আউট হয়েছেন। এই প্রশ্নেরও সঠিক উত্তর দিতে পারেননি সাকিব, সঠিক উত্তর হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যারেন স্যামি।
জিম্বাবুয়ের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট এর প্রশ্নে সঠিক উত্তর দিয়েছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডকে দুইবার হোয়াইটওয়াশে সবচেয়ে ভালো পারফর্ম করা সাকিব ৪৮ কিউই উইকেট শিকার করেছেন। টেস্টের প্রথম পাঁচ উইকেটটিও কিউইদের বিপক্ষেই নিয়েছিলেন।
তিন ফরম্যাটে মিলিয়ে কোন বছর সর্বোচ্চ রান করেছিলেন সাকিব সেটাও মনে রেখেছেন। ২০১০ সালে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১৩২৯ রান করেছিলেন তিনি।
টেস্টে পাঁচটি ম্যান অব দ্য ম্যাচ পেয়েছেন সাকিব। যার তিনটি এসেছে দলের পরাজয়ে। সাকিব কি আর সেটি ভুলতে পারেন।
ওয়ানডেতে নার্ভাস নাইন্টিজে দুই ব্যাটসম্যানকে আউট করেছেন সাকিব, দুইজনেরই রান ছিল ৯১। এদের মনে রাখতে পারেননি। দুইজন হচ্ছেন ভারতের বিরাট কোহলি ও নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল।
এছাড়াও তাকে আরো জিজ্ঞেস করা হয় কার অধিনায়কত্বে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন। সাকিব বাংলাদেশকে ৬২ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সাকিব নিজের অধিনায়কত্বেই সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন।
সাকিব মনে রেখেছেন, কোন বছর তিনি প্রথম বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হয়েছিলেন। ২০০৯ সালে প্রথম তিনি আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন। ক্রিকইনফোর, ১০ টি প্রশ্নের সাতটি সঠিক জবাব দিয়ে বি গ্রেড পেয়েছেন সাকিব।
১৪ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমকেএইচ