স্পোর্টস ডেস্ক : আর্থিক কারণেই ডিয়েগো সিমিওনে কোচের চাকরি নিতে আগ্রহ দেখাননি। আমার জন্য অর্থ কোনো ইস্যু নয়। আমি প্রয়োজনে আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের ফ্রি কোচিং করাব।
ফক্স স্পোর্টসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী নায়ক ডিয়েগো ম্যারাডোনা এসব কথা বলেন।
ম্যারাডোনা বলেন, অনেক লোকই ভাবতে পারেন আমি ব্যয়বহুল কোচ। কিন্তু তাহলে মরিনহোর ব্যাপারে কী বলবেন? এবং আনচেলত্তি কিংবা সিমিওনে? আমি জানি না তাদের তুলনায় আমি কতটা ব্যয়বহুল।
তিনি আরও বলেন, আমি কোচিংকে খুব বেশি মিস করা শুরু করেছি। আমি খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করা যেমন মিস করছি ঠিক তেমনি সাংবাদিকদের সঙ্গে লড়াই করাও মিস করছি।
২০০৮ সাল থেকে ২০১০ সালে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন ম্যারাডোনা। ২০১০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে আর্জেন্টিনা ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর জাতীয় দলের কোচিংয়ের পদ থেকে বরখাস্ত হন তিনি।
এরপর ২০১১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব আল ওয়াসেল অনেক আশা নিয়ে ম্যারাডোনাকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল। তবে তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১২ সালের জুলাইয়ে বরখাস্ত হন আর্জেন্টিনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী নায়ক।
সদ্য শেষ হওয়া কোপা আমেরিকার শতবর্ষী টুর্নামেন্টে চিলির কাছে টাইব্রেকারে হেরে যাওয়ার পর আর্জেন্টিনার কোচিং পদ থেকে ইস্তফা দেন জেরার্ডো মার্টিনো। সেই থেকেই নতুন কোচ খুঁজছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। আর্জেন্টিনা নতুন কোচ হিসেবে ম্যারাডোনা বিবেচিত হবেন বলে স্বপ্ন দেখছেন।
মার্টিনো দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পর স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বস ডিয়েগো সিমিওনকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল এএফএ। তবে সেই ডাকে সাড়া দেননি সিমিওনে। এ কারণেই দ্বিতীয় মেয়াদে ডি মারিয়াদের কোচ হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ম্যারাডোনা।
প্রসঙ্গত, টাটা মার্টিনো সরে দাঁড়ানোয় আগস্টের ৪ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া আর্জেন্টিনা অলিম্পিক দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য জুলিও ওলার্টিকোয়েচেয়া। বর্তমানে অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
২০ জুলাই ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/এমকেএইচ