নিউজ ডেস্ক: আপিলে বিএনপি দলীয় প্রার্থী মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার খবরে তার নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেছেন।
বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে এ খবর জানার পর তার নির্বাচনী এলাকা কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের দুটি উপজেলার লোকজন মিষ্টি বিতরণ করেন এবং একে অন্যকে মিষ্টি মুখ করিয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। মিলিত হন খণ্ড খণ্ড আনন্দ মিছিল নিয়ে। এ আসনের কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান কাঞ্চন জানান, প্রাথমিক বাছাইয়ে মেজর আখতারের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় আমাদের মনোবল অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছিল এজন্য যে এ এলাকা বিএনপির ঘাঁটি হলেও আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পুলিশের সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ হওয়ায় মেজর (অব.) আখতারুজ্জামানই হচ্ছেন তার উপযুক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী।
এবার হবে বাঘ ও সিংহের লড়াই। আর এ লড়াই জমবেও দারুণ। এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে প্রধান দুই দলের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে মুখোমুখি হলেন, বহুল আলোচিত বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর আখতারুজ্জামান রঞ্জন এবং আওয়ামী লীগে সদ্য যোগদানকারী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশের মহা-পরিদর্শক নৌকার প্রার্থী নূর মোহাম্মদ। আখতারুজ্জামান রঞ্জন ও নূর মোহাম্মদ এ আসনের কটিয়াদী উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের অধিবাসী।
একই এলাকার এ দুই ঘনিষ্ঠ কৃতী ব্যক্তিত্বের মধ্যে আখতারুজ্জামান রঞ্জন বিএনপি এবং নূর মোহাম্মদ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা ও কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। এদের মধ্যে বহুল আলোচিত রাজনীতিক আখতারুজ্জামান রঞ্জন এ আসন থেকে বিএনপি দলীয় টিকিটে দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত এবং জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্বপালন করলেও স্বাধীনচেতা মানসিকতা ও ভূমিকার জন্য বারবার দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। কিন্তু দলের দুর্দিন-দুর্বিপাকে শেষ পর্যন্ত কাণ্ডারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েও ভালোবাসা কুঁড়িয়েছেন।
অপরদিকে, পুলিশের আইজিপি, সচিব ও রাষ্ট্রদূত হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্বপালনের পাশাপাশি এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলেন নূর মোহাম্মদ। আর এ কারণে এখানকার রাজনীতির এ দুই নবীন-প্রবীণ রাজনীতিকের ভোটযুদ্ধ এখন ‘টক অব দ্য কিশোরগঞ্জ’। জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের এ আসনের বিএনপির টিকিটে দু’বার আখতারুজ্জামান রঞ্জন, একবার তার ছোটভাই আনিসুজ্জামান খোকন ও হাবিবুর রহমান দয়াল একবার নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ দলীয় টিকিটে বর্তমান মনোনয়ন বঞ্চিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন একবার, প্রয়াত সংসদ সদস্য ডা. আবদুল মান্নান দু’বার, প্রয়াত আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর একবার নির্বাচিত হন।