কিশোরগঞ্জ থেকে : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে রাস্তা ফেলে যাওয়া নবজাতককে নিজ হেফাজতে নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানা। সোমবার রাত নয়টার দিকে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিজ গাড়িতে করে শিশুকে নিয়ে যান বাসায়।
আদালতের সিদ্ধান্তে শিশুটির চুড়ান্ত ঠিকানা নিশ্চিত হওয়ার আগে পর্যন্ত শিশুটি থাকবে উপজেলা কমপ্লেক্সের বাসভবনে। সূত্র জানায়, নবজাতক শিশুটির নিরা'পদ হেফাজতের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত ঢাকার আজিমপুরে ছোটমনি নিবাসে প্রেরণের জন্য রবিবার আবেদন করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আবেদন বিবেচনাধীন।
বিচারক হাকিম আনিসুল ইসলাম সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন আদেশ দেননি। আলোচিত নবজাতকটি দত্তক নিতে ইতিমধ্যে ৩০/৩৫ জন আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। তবে সব সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত হবে আদালতে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. বুলবুল আহমেদ জানান, নবজাতকটি বর্তমানে সুস্থ আছে। তার কোনও শারীরিক জটিলতা নেই। গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা নাগাদ এক নারী নবজাতক কোলে নিয়ে বাস থেকে নেমেছিলেন ভৈরবে। এরপর রাস্তায় বসে থাকা এক ভিক্ষুক নারীর কাছে শিশুকে দেন। টয়লেটে যাবার কথা বলে সেই নারী নবজাতক রেখে পালিয়ে যান।
পিতামাতার পরিচয়হী'ন এ শিশুকে আপন করে নিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন ও হাসপাতালে কর্মরতরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা ঘটনা জানার পর থেকেই শিশুর চিকিৎসাসহ যাবতীয় বিষয়ে খোঁ'জখবর রাখছেন। তিনদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখার পর সোমবার রাতে নিজের কোলে তুলে নিয়েছেন তিনি নবজাতকটিকে।