কিশোরগঞ্জ থেকে : শনিবার ভোর রাতে হঠাৎ আ'গুন লাগে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের মাধখলা চৌরাস্তা বাজারে। তখন ঘড়িতে চারটা বাজে। ওই বাজারে কারো কাছে ফায়ার সার্ভিসের ফোন নম্বর ছিল না। কিংকর্তব্যবিমুখ লোকজন ফোন দেন উপজেলা চেয়ারম্যানকে। তিনি ফোনে খবরটি জানান ইউএনও শেখ মহি উদ্দিনকে।
ঘটনাটি ফায়ার সার্ভিসকে জানিয়ে যেই ঘটনাস্থলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেলেন ঠিক তখনই মনে হলো গাড়ির চালকে এই মুহূর্তে পাওয়া যাবে না। আর কিছু না ভেবে বাসার কেয়ারটেকারের সাইকেল নিয়ে অন্ধকারের মধ্যেই রওনা দেন তিনি। চার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন ফায়ার সার্ভিসের লোকজন কাজ শুরু করেছে। প্রত্য'ক্ষদর্শীরা জানায়, ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে বসে থাকেননি। এলাকাবাসীর সঙ্গে তিনিও আ'গুন নেভানোর কাজে হাত দেন। লোকজনের সহযোগিতা করেন।
ঘান্টাখানিকের চেষ্টায় বাজারের আ'গুন নিয়'ন্ত্রণে এলেও ততক্ষণে পুড়ে যায় পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবে র'ক্ষা পায় অনেক দোকানপাট। করোনা আত'ঙ্ক অগ্রাহ্য করে রাতের অন্ধকারে সাইকেল চালিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া, আ'গুন নেভানোর কাজে অংশ নেওয়া ও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতার জন্য প্রশংসিত হচ্ছেন ইউএনও শেখ মহি উদ্দিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই কর্মকর্তার মানবিকতা ও দায়িত্ববোধের বন্দনা চলছে।
মাধখলা গ্রামের নাদিম ভূঞা জানান, রাতের বেলায় তিনি সাইকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবসায়ীদের পাশে এভাবে দাড়াবেন তা ভাবতে পারিনি ব্যবসায়ীরা। আ'গুনের কারণে মন খা'রাপ হলেও ইউএনওর মহানুভূবতায় মু'গ্ধ হয়েছেন তারা। এই কর্মকর্তার মানবিক তৎপরতা দৃষ্টা'ন্ত হয়ে থাকবে। ফায়ার সার্ভিস বলছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আ'গুনের সূত্রপাত হয়েছে। আ'গুনে বাজারের পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। এক যুবলীগ নেতার ব্যক্তিগত কার্যালয় ও একটি বসতঘরও আংশিক ক্ষ'তিগ্রস্ত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ঘটনাটি উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল ফোন করে আমাকে জানান। সাথে সাথেই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই গফরগাঁও ও কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট গিয়ে আ'গুন নিয়ন্ত্রনে আনে। তিনি বলেন, অ'গ্নিকা'ন্ডে ক্ষ'তিগ্র'স্ত ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। যেন তারা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে।