কিশোরগঞ্জের লতিবপুরে দুই পক্ষের প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা সংঘ'র্ষে নূরুল ইসলাম নামে এক পথচারী নিহ'ত হয়েছেন।এসময় অন্তত ৩০টি বসতঘরে ব্যাপক হামলা ভা'ঙচুর, লু'টপা'ট ও অ'গ্নিসং'যোগের ঘটনা ঘটে।
রবিবার বিকেলে সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের লতিবপুর শ্রীমন্তপুর গ্রামে এ সংঘ'র্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের বেশ কয়েক জন আহ'ত হয়। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘ'র্ষ প'রি'স্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারসেল ও ফাঁকা গু'লি করে। প্রায় তিন ঘণ্টা পর পুলিশ ও র্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে পুলিশ জানায়, শ্রীমন্তপুর গ্রামের রইছ মেম্বারের সাথে একই এলাকার পারভেজের জমি নিয়ে বি'রোধ ছিল। এ নিয়ে রবিবার সকালে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধা'ওয়া-পা'ল্টা ধা'ওয়া হয়। বিকেলে আবারও দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মু'খোমু'খি সংঘ'র্ষে জ'ড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের বেশ ক’জন আহ'ত হয়। তাদের মধ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মা'রা যায় একই এলাকার নূরুল ইসলাম নামে এক পথচারী।
এক পর্যায়ে গ্রামের মাইকে নূরুল ইসলাম মা'রা গেছে বলে ঘোষণা দেয়া হলে পুরো গ্রামে উ'ত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নূরুল ইসলামকে নিজেদের লোক দাবি করে গ্রামের একটি পক্ষ শ্রীমন্তপুর এলাকায় অন্তত ৩০টি বসতঘরে হা'মলা, ভা'ঙচুর ও লুটপাট শেষে আ'গুন লাগিয়ে দেয়।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মোবারক হোসেন জানান, খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ, তাড়াইল ও ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আ'গুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার পর পর কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আনোয়ারের নেতৃত্বে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প'রিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।