কিশোরগঞ্জ: জেলার পাকুন্দিয়ায় এক সাইকেল মেকানিকের দোকানে জুন মাসের বিল এসেছে ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ১১৪ টাকা! পল্লী বিদ্যুতের ভু'তুড়ে বিলের এমন রেক'র্ড দেখে চোখ চড়কগাছ ওই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর। উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের শিমুলিয়া চৌরাস্তা বাজারের সাইকেল মেকানিক এমএ তুহিন কামালের নামে আসা এ ভু'তুড়ে বিদ্যুৎ বিলের আলোচনা এখন ‘টক অব দ্য কিশোরগঞ্জ’।
জানা গেছে, এমএ তুহিন কামাল দীর্ঘদিন ধরে ওই বাজারের একটি দোকানে সাইকেল মেকানিকের কাজ করে আসছেন। তার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি জানান, তার দোকানে ১টি ফ্যান ও ১টি লাইট ব্যবহার করেন তিনি। এতে করে প্রতিমাসে ২-৩শ’ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসতো তার। কিন্তু এবার জুলাই মাসে আসা জুন মাসের এ বিশাল অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল দেখে তার এবং আশপাশের ব্যবসায়ীদের চক্ষু চড়কগাছ।
তাদের অভি'যোগ পল্লী বিদ্যুতের ভু'তুড়ে বিলের অভি'যোগ নতুন কিছু নয়। এমন অসংখ্য ছোট-বড় ভু'তুড়ে বিলের মাশুল গুনছেন অসংখ্য গ্রাহক। আর এসব বিল সংশোধনে দিনের পর দিন তাদের দরোজায় ধর্ণা দিতে হয়।
আর এবার সাইকেল মেকানিকের এক মাসের বিলে উল্লেখ করা হয়েছে ২৩৪৬৯০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যয়ের। বিলম্ব মাশুলসহ যার মূল্য ধরা হয়েছে ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ১১৪ টাকা।
অথচ সরজমিনে তার মিটার রিডিং রয়েছে ৪৫০০ ইউনিট। অপরদিকে বিদ্যুত অফিসের কাগজে উল্লেখ করা হয় ২৩৪৬৯০ ইউনিট।
পার্শ্ববর্তী কটিয়াদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিয়ন্ত্রণাধীন শিমুলিয়া চৌরাস্তা বাজারের সাইকেল মেকানিকের নামে আসা এ ভু'তুড়ে, অবিশ্বাস্য ও আত'ঙ্কজনক বিদ্যুৎ বিল সম্পর্কে জানতে কটিয়াদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নাইমুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘটনাটিকে স্রেফ ‘ডাটা এন্ট্রি মিসটেক’ বলে অভিহিত করেন।
অপরদিকে, এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহা. আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে কথা হলে তিনি দাবি করেন, এ ধরনের ’গ্রেট মিসটেক’র জন্য দায়ী ও-ই অফিসের বিলিং সহকারী শামসুন্নাহারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া একইসঙ্গে বিলম্ব মাশুলসহ করা ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ১১৪ টাকার ও-ই ভুতুড়ে বিলটি সংশোধন করে সাইকেল মেকানিক কামালকে ৩২৫ টাকার বিদ্যুৎ বিল সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।