কিশোরগঞ্জ : কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা নন তিনি। কোনো মতাদর্শ তার জীবনকে স্পর্শ করার সুযোগও আসেনি।তবে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ এবং তার অসাধারণ আত্মত্যাগের গৌরব গাঁথায় মুগ্ধ-অভিভূত।আর এ কারণে মনের গভীরে গোপনে লালিত ভালোবাসা প্রকাশ ঘটালেন ফুলে ফুলে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ছেয়ে দিয়ে।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চণ্ডী পশা ইউনিয়নের বড় আজলদী গ্রামের চল্লিশ বছর বয়সী রিকশাচালক দ্বীন ইসলামের শ্রদ্ধা প্রদর্শনের এমন ঘটনা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে।
রিকশাচালক দ্বীন ইসলাম ৪০ কেজি ফুল কিনে এনে মনের মতো করে সাজিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল। গত কয়েকদিন রিকশা চালিয়ে উপার্জন করা ১০ হাজার টাকা দিয়ে এই ৪০ কেজি ফুল কিনেন তিনি।
রোববার সকালে ওই ফুল নিয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে আসেন। ফুল দিয়ে নিজেই সাজান পুরো ম্যুরাল।এ সময় শতশত উৎসুক লোকের ভিড় জমে সেখানে।
ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল সাজানো নিয়ে কথা হলে রিকশাচালক দ্বীন ইসলাম জানান, তিনি বঙ্গবন্ধুকে গভীর ভালোবাসেন। একাধিকবার তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপ্নেও দেখেছেন।তাই ফুল দিয়ে তার ম্যুরাল মুড়িয়ে তৃপ্ত হয়েছেন, শান্তি পেয়েছেন।
এক পর্যায়ে তিনি দাবি করলেন, বঙ্গবন্ধুকে এভাবে প্রায়ই স্বপ্নে দেখেন তিনি। একদিন স্বপ্নে বঙ্গবন্ধু তাকে ৪০ কেজি ফুল দিয়ে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে বলেন।স্বপ্নে এমন নির্দেশনা পেয়ে তিনি কয়েকদিন ধরে রিকশা চালিয়ে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ৪০ কেজি ফুল কিনেছেন। সেই ফুল দিয়ে তিনি প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় দ্বীন ইসলাম আরও জানান, এর আগে ২০১৭ সালেও তিনি বঙ্গবন্ধুকে দেখতে পান। সে সময় তার নির্দেশ পালনে কক্সবাজার ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যান। টুঙ্গিপাড়ায় তার কবরস্থান জিয়ারত করেন এবং সেখানে দুটি পায়রা উড়ান।
দ্বীন ইসলাম জানালেন, লোকে যাই বলুক স্বপ্নে পাওয়া বঙ্গবন্ধুর আদেশ পালনে তিনি বদ্ধপরিকর।এগুলো লোক দেখানো কিংবা নিজেকে প্রচারের জন্য নয় বলেও জানান তিনি।