কিশোরগঞ্জ : মুফতি ইয়াকুব আলী: কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ১১ বছর বয়সী মাদরাসাছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে বড়খাঁরচর আদর্শ নূরানি হাফিজিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি ইয়াকুব আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার দুপুরে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ জেলার তাড়াইল উপজেলার সেকান্দরনগর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, গত ৩০ ও ৩১ মার্চ পর পর দুই রাত বড়খাঁরচর আদর্শ নূরানি মাদরাসার নূরানি তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে বলাৎকার করেন ইয়াকুব। এ সময় তিনি ঘটনা প্রকাশ না করতে শিশুটিকে কোরআন শরিফ ছুঁইয়ে শপথ করান। এর পরেও শিশুটি তা প্রকাশ করে দেয়। ঘটনা জানাজনি হলে পুরো এলাকায় বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
পাশবিক নির্যাতনের শিকার শিশুটির বাবা বলাৎকারের ঘটনায় মুফতি ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে কুলিয়ারচর থানায় গত বুধবার মামলা করেন। তবে ঘটনার পরে ইয়াকুব আলী পালিয়ে যান। মামলার পর তাকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় পুলিশ। অবশেষে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে আজ দুপুরে তাকে তাড়াইল থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় তারা।
কুলিয়ারচর থানার এসআই মো. আবুল কালাম বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে প্রথমে তার এক সহযোগীকে নরসিংদীর রায়পুরা থেকে আটক করা হয়। পরে ওই ব্যক্তির সহযোগিতা নিয়ে তাকে তাড়াইল উপজেলার সেকান্দরনগর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, হেফাজত নেতা মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ডের পর গত ৩ এপ্রিল রাতে কুলিয়ারচর সদরে হেফাজতের নেতাকর্মীরা যে তাণ্ডব চালায়। এর নেতৃত্ব দেন এই মুফতি ইয়াকুব আলী। তিন কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে।