এমটি নিউজ২৪ ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের ভয়াবহ সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত হয়েছেন ১৫ জন। তার মধ্য গুরুতর আহত হয়েছেন পুলিশের এসআই বাপ্পি ও শুকুর মিয়া নামের এক যুবক। পুলিশ ১৫ রাউন্ড রাবার গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজ সংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। রাতেই পৌর কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী সোহাগসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করে পুলিশ। এতে অজ্ঞাত আসামি করা হয় ১১০ জনকে।
জানা গেছে পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকায় বুধবার বিকালে যুবকরা ফুটবল খেলার আয়োজন করে। খেলার সময় হেলিম মিয়ার ছেলে রুহানের সঙ্গে প্রতিপক্ষরা তুচ্ছ ঘটনায় তর্ক করে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্য হাতাহাতি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত সাড়ে ৮টায় খালেক মিয়ার বাড়ির লোকজন হেলিমের বাড়িতে আক্রমণ করে। এ সময় দুইপক্ষের মধ্য সংঘর্ষ বাধে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল মারতে থাকে। এ সময় পুলিশ প্রাণ বাঁচাতে ১৫ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। গুরুতর আহত শুকুর মিয়াকে ভৈরব হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
ভৈরব থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. কায়সার আহমেদ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় পুলিশের ওপর আক্রমণ চালালে ১৫ রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনায় পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা হয়েছে।