কুমিল্লা : ‘আমার তনুর মরদেহ নিয়ে কত টানা-হেঁচড়া হলো, কবর থেকে মরদেহ তোলা হলো। এখন কেউ বলে পাশবিক নির্যাতন করেছে আবার কেউ বলে পাশবিক নির্যাতন করা হয়নি, এসব শুনতে আর ভালো লাগে না। মেয়ের বিচারটা কি দেখে যাইতে পারুম না। আমার তনুকে তো জিনে মারেনি।
এভাবেই আক্ষেপ করে গণমাধ্যমের কাছে কথাগুলো বলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর বাবা ইয়ার হোসেন।
প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তনুকে পাশবিক নির্যাতনের আলামত মিলেনি এবং মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণও উল্লেখ নেই।
এমন খবর শুনে সোমবার রাতে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেন, ডাক্তাররা কি রিপোর্ট দিয়েছে তা আমি জানি না। আমার মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ আমি সিএমএইচে নিয়ে গেছি। তাকে কে হত্যা করেছে জানি না, আল্লাহ দেখেছেন।
সোমবার প্রথম ময়নাতদনন্তকারী চিকিৎসক ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. শারমীন সুলতানা বিভাগীয় প্রধানের কাছে ওই প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বিভাগের প্রধান ও দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী বোর্ডের সদস্য ডা. কামদা প্রসাদ সাহা (কেপি সাহা) বিকালে নগরীর বাদুরতলা এলাকায় তার ব্যক্তিগত চেম্বারে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে প্রথম ময়নাতদন্তের বিষয়ে অবহিত করেন।
ডা. কেপি সাহা জানান, তনুর শরীরে যে দুইটি আঘাত ছিল তা মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট নয়। তাছাড়া তাকে পাশবিক নির্যাতনের আলামতও মিলেনি।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জবাবে তনুর বাবা বলেন, আমার মেয়ে খুন হয়েছে, এখন ডাক্তাররা এসব কি বলছে জানি না। তাহলে কি আমার তনুকে জিনে মেরেছে? ক’দিন পর হয়তো এমন কথাও শুনা যেতে পারে।
তার মেয়ে হত্যার ন্যায় বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও দেশবাসীর ওপর ভরসা করছেন তার বাবা। আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়েছে। আমি আশা করি, দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী মেডিকেল বোর্ড মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ও রহস্য বের করে সত্য রিপোর্ট দেবে।
গত ২০ মার্চ রোববার রাতে কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাসের একটি জঙ্গলের ভেতর তনুর মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ ও ডিবির পর মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে সিআইডি। তথ্যসূত্র : জাগো নিউজ
৪ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম