মানিকগঞ্জ : চুড়ি-মালা বিভিন্ন ধরনের নারীদের প্রসাধনী নিয়ে গ্রামে গ্রামে হকারি করে বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করে বেদে সম্প্রদায়ের লোকজন। প্রতিদিনের উপার্জন দিয়ে চলে দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা। কিন্তু সাম্প্রতিক সারা বিশ্বসহ বাংলাদেশে ঢুকে গেছে করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব।
এদিকে এ ভাইরাস থেকে রেহাই পেতে সং'ক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য লোকজনদের জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ কারণে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথুলী এলাকায় ইছামতী নদীর পারের বেদে সম্প্রদয়ের লোকেরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
ঘরে জমানো যতটুকু খাদ্য সামগ্রী ছিল তা ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে গত দুই দিন ধরে রান্নার চুলা জ্ব'লানোর উপায় ছিল না। শুক্রবার সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে এমন সংবাদ পেয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএফএম ফিরোজ মাহমুদ খাদ্য সামগ্রী নিয়ে কাছে ছুটে যান তাদের কাছে। এসময় তিনি ১৫টি পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল, আলু, লবণসহ একটি করে প্যাকেট তুলে। মুহূর্তের মধ্যে হাসি ফোটে বেদে পরিবার গুলোর মাঝে। ইউএনওর এমন মানবিক কাজের জন্য স্থানীয়দের কাছে প্রশংসায় ভাসছেন।
ইউএনও ফিরোজ মাহমুদ জানান, উপজেলার বেদে সম্প্রদায়ে পরিবারগুলোতে গত দুই দিন ধরে খাবারের অভাবে চুলা জ্ব'লছে না এমন সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক খাদ্যসামগ্রী নিয়ে তাদের কাছে হাজির হই। এসময় তাদের প্রতিটি পরিবারের মাঝে আমি নিজে এ খাদ্যসামগ্রী তুলে দেই। এছাড়া করোনাভাইরাস সং'ক্রমণ রোধে শুরুতেই ক'ঠোর অবস্থানে রয়েছে শিবালয় উপজেলা প্রশাসন।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য ইতিমধ্যে লোকজনদেরকে ঘরে থাকার জন্য বোঝানো হচ্ছে। রাত-দিন উপজেলার প্রতিটি গুরত্বপূর্ণ জায়গায় টহল দেওয়া হচ্ছে যাতে কেউ বাহিরে না আসে। এসময় যারা দিনমজুর কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, তাদের খাদ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত শিবালয়ে উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সরকারিভাবে সহস্রাধিক কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ব্যক্তি বা স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে তিন সহস্রাধিক পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কারো হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আমাদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।-কালের কণ্ঠ