এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ময়মনসিংহে সপ্তাহের ব্যবধানে সবজি-মাছসহ মুরগির দাম বেড়েছে। এতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন। অনেকে প্রয়োজনের তুলনায় কম কিনে বাড়ি ফিরছেন। বাজার মনিটরিং দুর্বল থাকায় দাম বাড়ছে বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে শহরের ঐতিহ্যবাহী মেছুয়া বাজারে দেখা যায়, সবজির দাম কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মাছ ও মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা।
ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, করলা, কাঁকরোল, বরবটি ও চিকন বেগুনের দাম কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে করলা ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। অথচ এখন করলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে। এছাড়া কাঁকরোল ৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০, বরবটি ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০ ও চিকন বেগুন ৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শসা ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচামরিচ ১২০, টমেটো ১২০, চিচিঙ্গা ৪০, পটোল ৪০, চায়না গাজর ১২০, সীম ১৮০, ঢেঁড়স ৮০, লতা ৪০, দেশি গাজর ৭০, ধুন্দল ৫০, ঝিঙে ৭০, কচুর মুখি ২০ ও মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লাউ ৬০ টাকা পিস, কাঁচকলা ৪০ টাকা হালি ও লেবু ১৫ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।
একই বাজারে মাছের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে পাবদা ৩৫০-৪৭০, শোল ৫৭০-৮৫০, ট্যাংরা ৫১০-৮৩০, সিলভার কার্প ২১০-২৬০, মৃগেল ২৫০-৩০০, টাকি ৩৯০-৫৪০, কালবাউশ ৩১০-৩৭০, কাতল ৩৩০-৩৯০, পাঙাশ ১৮০-২২০, শিং ৩১০-৬০০, কৈ ২২০-৩১০, রুই ২৯০-৩৯০ ও তেলাপিয়া ১৯০-২৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অপরিবর্তিত অবস্থায় কক মুরগি ৩০০, গরুর মাংস ৮০০ ও খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিম ৪০ টাকা হালিতে, দেশি মুরগির ডিম ও হাঁসের ডিম ৭০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
সবজি কিনতে আসেন আজিজ মিয়া বলেন, দাম হু হু করে বাড়ছে। বাজারে কর্তৃপক্ষের যথাযথ মনিটরিং না থাকায় দাম বাড়ছে। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের লোকজন স্বস্তিতে বাজার করতে পারছে না।
মাছ কিনতে আসেন রমজান আলী। তিনি বলেন, বাজারে মাছের প্রচুর সরবরাহ রয়েছে। তবুও দাম বাড়িয়ে অসাধু বিক্রেতারা তাদের পকেট ভারি করছে। বাজারে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি না থাকায় দাম বাড়ছে।
তবে সবজি বিক্রেতা আলম মিয়া বলেন, পাইকারদের কাছ থেকে বাড়তি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। তাই দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।
মাছ বিক্রেতা ইদ্রিস মিয়া বলেন, মাছের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমার সম্ভবনা রয়েছে। প্রশাসন অভিযান চালালে আড়তে অভিযান চালানো প্রয়োজন। কারণ আড়তদাররা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে দাম কমিয়ে বিক্রি করলে ক্রেতা পর্যায়ে দাম কমে আসবে।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস ছালাম বলেন, বাজারে দাম বাড়ার যৌক্তিক কারণ আছে কি না জানা নেই। বাজারে খোঁজ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে অভিযান চালিয়ে অসাধু বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।